The news is by your side.

সৎ বাবাকে বিয়ে করে জীবনে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি:  ক্রিস্টি

0 166

২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখটিও স্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিস্টির জীবনে। লাস ভেগাসে মনের মানুষের সঙ্গে চারহাত এক করেছেন তিনি। একে অপরের ঠোঁটে ভালবাসা এঁকে দিচ্ছেন ক্রিস্টি এবং তাঁর সঙ্গী। সমাজমাধ্যমে সেই মুহূর্তের ছবিও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সঙ্গীর পরিচয় জানাতেই গোল বাধল। এ কাকে বিয়ে করেছেন তিনি!

ক্রিস্টির বয়স ২৬ বছর। লাস ভেগাসের বাসিন্দা তিনি। ২৭ ফেব্রুয়ারি নিজের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ক্রিস্টি। ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি জানান যে, ‘নিজের সৎবাবাকে বিয়ে করে আমি জীবনে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এমনকি ভিডিয়োটি পোস্ট করে নীচে সে রকম হ্যাশটাগও ব্যবহার করেছেন ক্রিস্টি।

স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এক লক্ষেরও বেশি সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী এই ভিডিয়োতে মন্তব্য করেছেন। ২৩ লক্ষের বেশি লোক ভিডিয়োটি দেখেছেন।

কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে, ভালবাসলে বয়সের পার্থক্য কত বেশি তা নিয়ে কিছু যায়-আসে না। দু’জন মানুষ একে অপরের সঙ্গে সুখেশান্তিতে থাকাটাই আসল বলে মনে করেন তাঁরা। মন ভরে ক্রিস্টিকে নতুন জীবনের জন্য আশীর্বাদ করেছেন তাঁরা।

আবার ক্রিস্টির এই সিদ্ধান্তকে অধিকাংশই মেনে নেননি। কন্যাসম হয়ে নিজের ‘সৎবাবা’কে কী করে ক্রিস্টি বিয়ে করতে পারলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

কেউ কেউ মনে করেছেন যে, ক্রিস্টি তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে তাঁর মায়ের সম্পর্কে ঢুকে পড়েছিল বলে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে। ক্রিস্টির সঙ্গে তাঁর মায়ের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন বলে অনুমান করেছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশ

কেউ কেউ ক্রিস্টি এবং তাঁর সঙ্গীর সম্পর্ক নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যও করেছেন। অবশেষে ক্রিস্টি তাঁর নীরবতা ভেঙে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। নিজের সঙ্গীর ছবি দিয়ে তাঁর আসল পরিচয়ও জানান ক্রিস্টি।

ক্রিস্টি বলেন, ‘‘প্রথমেই আমি কিছু কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমি আমার সৎবাবাকে বিয়ে করিনি। পুরোটাই রসিকতা ছিল। আপনারা যতটা আগ্রহ দেখিয়েছেন, আমাদের প্রেমকাহিনি ততটাও রসালো নয়।’’

অনেকেই ক্রিস্টিকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, তাঁর সঙ্গে ‘সৎবাবা’র বয়সের পার্থক্য কত? তাঁর ‘সৎবাবা’র কাছে কি তিনি মানুষ হয়েছেন? ক্রিস্টির মা এবং তাঁর ‘সৎবাবা’র কি কোনও সন্তান রয়েছে? সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ক্রিস্টি।

ক্রিস্টি তাঁর ভাই শন, ক্রিস্টোফার হ্যারিসের সঙ্গে ভাল বন্ধুর মতো মিশত বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টি। ভাইয়ের সূত্রে তাঁর স্বামীর সঙ্গে আলাপ হয় ক্রিস্টির।

ক্রিস্টি বলেন, ‘‘আমার স্বামী এবং শন সারা দিন একসঙ্গে থাকত। শনের পাশাপাশি আমারও ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিল ও। বাইক দুর্ঘটনায় শন মারা যাওয়ায় আমরা দু’জনেই খুব ভেঙে পড়ি।’’

শনের মৃত্যুর পর তাঁর বন্ধু এক মুহূর্তের জন্যও ক্রিস্টিকে একা থাকতে দেননি। ক্রিস্টি বলেন, ‘‘বাবার মতো আমায় আগলে রাখত ও। আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে, ও-ই আমার জীবনসঙ্গী। কখন যে ভালবেসে ফেললাম বুঝতেই পারিনি।’’

দু’জনে সম্পর্কে আসার কিছু দিন পর এক কন্যাসন্তান জন্ম দেন ক্রিস্টি। তার কয়েক বছর পর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। প্রথম দুই সন্তানের নাম নিজের ভাইয়ের নামে রাখেন ক্রিস্টি।

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.