বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের জনগণের কল্যাণে দেশি-বিদেশি উভয় ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ বা কর্মপন্থা নির্ধারণ করে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণে বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকারের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে সম্মান প্রত্যাশা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন যে মন্তব্য করেছেন, তা আমলে নিয়ে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
১৪ জুন বেইজিংয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিভ্রান্তিকর বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অফিসিয়াল সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ এ বিষয় জানতে চায়।
শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি করে বলা হয়, বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞাকে ভয় পায় না এবং যেসব দেশ বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের কাছ থেকে কোন কিছু কেনা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। গ্লোবাল টাইমস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, যে কোন দেশের সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে।
এর জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, একটি নির্দিষ্ট দেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের জনগণের দৃঢ় অবস্থানের কথাই বলেননি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের মনের কথাও বলেছেন।
চীনের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন বলেন, সব ধরনের আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা, জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মৌলিক নিয়মকানুন সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।