মেহজাবীন চৌধুরী চরিত্রের টানে আগেও নিজেকে ভেঙেছেন বহুবার। তবে এবারের আদলটা বেশ আলাদা। যেমনটা তিনি হাজির হচ্ছেন মহান স্বাধীনতা দিবসের নাটকে।
তাকে নিয়ে ‘অসমাপ্ত’ নাটকটি নির্মাণ করেছেন তুহিন হোসেন। চিত্রনাট্যে ছিলেন সারওয়ার রেজা জিমি। এতে মেহজাবীন অভিনয় করেছেন সালেহা চরিত্রে। তার বিপরীতে মুনিরের চরিত্রে আছেন আফরান নিশো।
নাটকে নিশো যেমন তেমন, মেহজাবীনের স্থিরচিত্র দেখলে যে কেউ বিস্মিত হবেন। বিশেষ করে এই নাটকে তার গেটআপ প্রশংসার দাবি রাখে। আর অভিনয়ের বিষয়টি জানা যাবে আজ, রবিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের পরে, আরটিভির পর্দায় সম্প্রচারের মাধ্যমে।
তার আগে নির্মাতার কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক ‘অসমাপ্তর’র প্লট।
পাকিস্তানের শোষণে অতিষ্ঠ হয়ে বাঙালি শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চারদিকে যুদ্ধের খবর। জোয়ান ছেলেরা সব মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। মুনিরের বাবার একটাই ছেলে। তিনি চান ছেলেকে যে কোনও উপায়ে ঘরে আটকাতে। তাই উঠতি বয়সী ছেলে, বিয়ে দিলে ঠিকই বউয়ের আঁচলে বাঁধা পড়বে- এমন ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছিলেন।
এই ভাবনা থেকেই পাশের গ্রামের গেরস্থের মেয়ে সালেহার সাথে বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করেন তিনি। মেয়ে শিক্ষিত, কলেজে পড়ে। দু’দিন পরই বিয়ে। বিয়ের আগের রাতে মুনির মনস্থির করলো, বিয়ে নয় সে যুদ্ধে যাবে। বাবা-মায়ের অনুমতি পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং একটা চিঠি লিখে রাতের আঁধারেই পালাবে সে।
নির্মাতা তুহিন এর পরের গল্পটা বলেন এভাবে, ‘অবশেষে রাতের অন্ধকারে নদীর ঘাটে পৌঁছায় মুনির। নৌকায় উঠে সে টের পায় তাতে আরেকটি মানুষ আগে থেকে বসে আছে। আপাদমস্তক ঢাকা। একটা সময় মুখ ঢেকে বসে থাকা মানুষটি ঘুরে বসে। তাকে দেখে চমকে ওঠে মুনির। সে আর কেউ নয় সালেহা! এরপর ঘটতে থাকে নানাবিধ ঘটনা। আমরা চেষ্টা করেছি মহান স্বাধীনতা দিবসে অন্যরকম একটা প্রেমের গল্প বলতে। যাতে দারুণ অভিনয় করেছেন শিল্পীরা। বাকিটা দর্শকরা বিচার করবেন।’