সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস‘ ছবির প্রচার এবং হল রিলিজ নিয়ে যারপরনায় ক্ষুব্ধ তিনি।হলে রিলিজ হওয়া ছবি প্রযোজক ডিজিটাল রিলিজ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। নতুনদের ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা পাওয়া থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবিটি দর্শকদের কাছে প্রশংসিত। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ জানে না ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে চলছে…
ছবির প্রচারই তো হয়নি। মানুষের কাছে ছবিটা পৌঁছয়নি।
আপনি নিজেও তো এগিয়ে আসতে পারতেন…
দেখুন প্রেস কনফারেন্সে গিয়ে দেখলাম অর্ধেক সংবাদপত্র নেই। আমি কী করব? সোশ্যাল মিডিয়ায় যা করার করেছি। এই তো আপনি আমার সাক্ষাৎকার চাইলেন সঙ্গে সঙ্গে দিলাম। আমি যদি ডিস্ট্রিবিউটার বা প্রমোশনের বিষয়ে কথা বলতেও চাই। আমায় কথা বলতে দেবেটা কে? আর অভিনেত্রী, পরিচালক কারও তো এই বিষয়গুলো দেখা কাজ নয়।
ক্রাউড ফান্ডিং-এর ছবি। নতুন পরিচালক বলেই কী ছবির এই অবস্থা?
কেন বলুন তো আমরা ধরে নেব শুধু বড় ব্যানার আর স্টার পরিচালকরাই ছবি বানাবে? আর দর্শকরা সেটাই দেখবে। কারণ তাদের প্রচার খুব ভাল? আমি তো শুনেছি দর্শকরাই বলেন সেই এক মুখ বার বার দেখতে হয়।হাতে গোনা পরিচালকের ছবিই দেখে যেতে হয়। তো ? নতুন পরিচালক বা অভিনেত্রীর কাজ হলেও তো সেটা দেখার সুযোগ বাংলা ছবির দর্শকরা পাচ্ছেন না। এতগুলো আইনক্স এখন, একটাতেও ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’-এর জন্য ভাল টাইমিং দেওয়া গেল না? আড়াইটে, তিনটের শো। সব জায়গায় খারাপ টাইমিং। আমরাই কি ওই সময় অফিস ছেড়ে হলে ছবি দেখতে যাব? তাহলে আমি দর্শকদের কাছে সেই আশা করব কী করে? এই যে আমরা সারাক্ষণ বলতে থাকি না বাংলা ছবি দেখুন, সাপোর্ট করুন, ভাবুন। এগুলো সব কথার কথা। ভাল কাজ করলেও সেটা যদি মানুষের কাছে না পৌঁছয় তাহলে কী লাভ বলুন তো?
কিয়া অ্যান্ড কসমস’-এর রেসপন্স কেমন?
খুব ভাল। একটা নেগেটিভ রিভিউ নেই। আমার পরিচিত নয় এমন অজস্র মানুষের ছবিটা ভাল লেগেছে। আর আমার বাবা তো বিশ্ব নিন্দুক। আমার ছবি দেখতে গেছে তারপর অর্ধেক দেখে হল থেকে বেরিয়ে এসছে। এমন কতবার হয়েছে। বাবা ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ দেখে বলল ‘অনেক দিন পর একটা ফ্ললেস ছবি দেখলাম। লবিবাজি না থাকলে ঋত্বিকা যে কিয়া করেছে সে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেতো’। অল্পবয়সী একটা মেয়ে এত ভাল অভিনয় করল। অথচ কী হল? কটা লোক জানছে সেটা? সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন, পি আর কোনওটাই এই ছবির ক্ষেত্রে ঠিক হয়নি। প্রযোজক ভাবলেন ক্রাউড ফান্ডিং-এর ছবি, আমি এসে টাকা দিয়ে উদ্ধার করলাম ছবিকে। ভাল কথা। কিন্তু শুধু টাকা দিয়েই কী কাজ শেষ হয়ে যায় প্রযোজকের?