কাতারে বসেছিল তারার মেলা। স্বপ্নের মেলা। ওই স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে কোয়ার্টার ফাইনালেই নক্ষত্রের পতন হতে শুরু করেছে। বিশ্বকাপে শেষ আটে নেইমারদের স্বপ্ন ভেঙেছে। গ্রুপ পর্বে জার্মানি, শেষ ষোলোয় স্পেন বিদায় নিয়েছে। দম ফাঁটা চাপে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা টিকে আছে। তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। তার শেষ বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে হেরেছে পর্তুগাল।
প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে লিড নেয় মরক্কো। সেভিয়ায় খেলা দলটির ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ইউসেফ এন নেসরি হেড থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন। ওই গোল চেষ্টা করেও শোধ করতে পারেনি তরুণ-সিনিয়র মিলিয়ে দারুণ সম্ভাবনাময় দল নিয়ে কাতারে আসা পর্তুগাল। ওই গোলেই সেমিফাইনালে উঠে গেছে আফ্রিকার প্রতিনিধিরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে আফ্রিকার একমাত্র দল হিসেবে শেষ চারে নাম তুলে ইতিহাস গড়েছে।
সুইসদের বিপক্ষে রোনলদোকে বেঞ্চে রেখে দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল পর্তুগাল। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়েও একই কাজ করেন পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। সিআরসেভেনকে বেঞ্চে রাখেন তিনি। প্রথমার্ধে বলের একচ্ছত্র রাজত্ব করেও ইউরোপের দলটি খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এক গোল খেয়ে এবং গোল মুখে তিনটি শট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের। অবশ্য জোয়াও ফেলিক্স ম্যাচের শুরুতেই গোল হওয়ার মতো ভালো একটি হেড করেছিলেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নামেন ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো। ধার বাড়ে পর্তুগালের আক্রমণের। কিন্তু মরক্কোর নিটুট রক্ষণ দেয়াল ভেঙে গোল করার মতো পরিষ্কার সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেনি। রোনালদোদের তাই দুই উইঙ্গ থেকে ক্রস এবং দূর থেকে শট নিয়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করতে হয়। ওই চেষ্টায় রোনালদো বক্সের ঠিক মুখ থেকে ভালো একটি শট নিয়েছিলেন। বক্সের ঠিক বাহির থেকে বেনার্ড সিলভা নিয়েছিলেন গোল হওয়ার মতো শট। কিন্তু সেভিয়ায় খেলা মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোকে তা ফাঁকি দিতে পারেনি।
পর্তুগালের বল পায়ে রাখা, ফাইনালে থার্ডে আক্রমণ শানার ফাঁকে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল মরক্কো। তারা গোল করার মতো তিনটি কাউন্টার অ্যাটাকও তুলেছিল। এর মধ্যে শেষ বাঁশির আগে পরিষ্কার গোল করার সুযোগ হারায় তারা। গোলরক্ষকে ফাঁকা পেয়ে জালে বল পাঠাতে পারেনি আফ্রিকার দলটি। এই জয়ে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মরক্কো তাকিয়ে থাকবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে। শেষ চারে ওই ম্যাচের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে তারা।