সাকিব আল হাসান। ৩৫টি বসন্ত পূর্ণ করে ৩৬ বছর বয়সে এ পা দিয়েছেন সাকিব। তাই জন্মদিনে দেশবাসীকে এক বড় উপহারই দিয়েছেন টাইগার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। নিজের নামে ক্যানসার ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পাঁচতারকা এক হোটেলে ‘সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন’ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ক্রিকেটার নাইম ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী শুভ, কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম এবং সারোয়ার ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ব্যাপক। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। এই রোগের চিকিৎসা করতে খরচ হয় লাখ-লাখ কিংবা কোটি টাকাও। সে সব চিন্তা করেই নিজের নামে ক্যান্সার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করলেন সাকিব।
নিজের বক্তব্যে সাকিব জানান, ‘আমি অনেক সময় অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়েছি। চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার। এবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কিছু করতে চাই। এই ক্যানসার ফাউন্ডেশন করার পেছনে সত্যিকার অর্থে সেটিই কারণ।’
মাঠের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের পারফর্ম সবসময় উচ্চগামী। মাঠের বাইরেও সাকিব দুর্দান্ত এবং অপ্রতিরোধ্য। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় নিজের নামে ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ খুলে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এবার আরও বড় এক উদ্যোগ নিলেন সাকিব।
নতুন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার তৈরির ইচ্ছা পোষণ করে সাকিব বলেন, ‘একটা ডায়াগনসিস সেন্টার করতে চাই। তারও আগে চাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে। আমার কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক আর্লি স্টেজে যদি এটা ধরা পড়ে কিংবা শুরুতেই ডায়াগনসিস করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় এখন অনেক ভালো চিকিৎসা আছে। যার মাধ্যমে মানুষ অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে।’
ক্যানসারের সচেতনতার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘ক্যানসারকে সবাই মরণব্যাধি বলে। তবে এর ভয়ে পিছিয়ে থাকলে তো চলবে না। আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, মানুষকে সাহস দিতে হবে, দেখাতে হবে আশা। আমরা সবাই মিলে সেই কাজটি করতে চাই। যত ক্ষুদ্র পর্যায়ে থেকেই হোক না কেন। যাদের সামর্থ্য নেই ক্যানসারের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসাকে এগিয়ে নেওয়ার, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যানসার ডায়াগনসিস করার, সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন এইসব মানুষের জন্য কাজ করতে চায়।’
সাকিব যোগ করেন, ‘আমরা যদি একজন, একশ জন বা এক হাজার জন মানুষকেও সাহায্য করতে পারি, সেটিই আমাদের জন্য বড় অর্জন হবে আমি মনে করি।
আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটা ক্যানসার হাসপাতাল করার। যেখানে পরিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার সকল সুবিধা থাকবে। তবে একদমই কম খরচে। মানুষ যেন হাসপাতালে এসে হাসি মুখে বাড়ি ফিরবে। গর্ব করে বলবে, বাংলাদেশেও এমন একটি হাসপাতাল আছে। যা কিনা ছড়িয়ে পড়বে দেশ ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ে। স্বপ্নটা বিশাল। হয়তো এখনই সম্ভব নয়। তবে একদিন নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ্।’