স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, টিসিবির কার্ডধারীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবে এ উদ্যোগের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। একজন দিনমজুর তার টিসিবির পণ্য নিতে এসে তার সারা দিনের শ্রমঘণ্টা ব্যয় করেন। এতে তার ৭ থেকে আটশ’ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হন। এজন্য নাগরপুরকে মডেল হিসেবে নিয়ে স্থায়ী দোকানে পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। সারা দেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নাগরপুরে রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৯ পরিবার।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিসিবির স্মাট কার্ড ও হুইল চেয়ার বিতরণ, ডিলার, বাজার সমিতি ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সব কথা বলেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। এদেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন, এজন্য ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশেষ করে, আমাদের দেশে যে পণ্যগুলো উৎপাদন হয় না বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার জন্য টিসিবি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা বেগম শিপ্রা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, গয়হাটার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমরান হোসাইন শাকিল প্রমুখ। এর আগে মন্ত্রী কলিয়া-সরিষাজানি রাস্তার উদ্বোধন করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে দুপুরে তেবাড়িয়া–পাইকশা বাজার এবং তেবাড়িয়া মহারাজের দোকান হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে সলিমাবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ খান ঝলকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।