স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুস-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ায় পদত্যাগ করতে পারেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। এমন পরিস্থিতিতে সরকারপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্বপালন চালিয়ে যাওয়া উচিত হবে কিনা সে বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমার সরকারপ্রধান থাকা উচিত নাকি এই সম্মান ছেড়ে দেওয়া উচিত, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য থামতে ও ভাবতে হবে।
সানচেজ বলেছেন, তিনি আগামী সোমবার সিদ্ধান্ত জানাবেন এবং সেই পর্যন্ত নিজের কাজগুলো স্থগিত রাখবেন।
এর আগে, দিনের শুরুতে মাদ্রিদের একটি আদালত জানায়, তারা সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছে মানোস লিম্পিয়াস (ক্লিন হ্যান্ডস) নামে একটি দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে অনলাইন নিউজ সাইট এল কনফিডেনশিয়ালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে বা চুক্তি জিতেছে এমন বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে বেগোনা গোমেজের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ওয়েবসাইটটি বলেছে, এয়ার ইউরোপার মালিকানাধীন স্প্যানিশ পর্যটন গ্রুপ গ্লোবালিয়ার সঙ্গে গোমেজের কথিত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত এ তদন্ত।
কোভিড-১৯ মহামারির সময় উড়োজাহাজ চলাচলে ধস নামার পরে একটি বিশাল বেলআউট নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল এয়ার ইউরোপা। সেই সময় গ্লোবালিয়ার প্রধান নির্বাহী জাভিয়ের হিডালগোর সঙ্গে দু’বার দেখা করেন বেগোনা গোমেজ।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পেদ্রো সানচেজের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ডানপন্থি বিরোধী দল পপুলার পার্টি (পিপি)।
তবে সোশ্যালিস্ট নেতা সানচেজ দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ‘অবাস্তব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে’ তৈরি। এটি ‘অতি রক্ষণশীল’ মিডিয়ার নেতৃত্বে এবং রক্ষণশীল ও কট্টর ডানপন্থিদের সমর্থনে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ প্রচারণার অংশ মাত্র।
২০১৮ সাল থেকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন পেদ্রো সানচেজ। বুধবারের বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি নির্বোধ নই। আমি জানি, তারা বেগোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে সে অবৈধ কিছু করেছে বলে নয়। অভিযোগ আনার কারণ, সে আমার স্ত্রী।