ইংল্যান্ডের সমস্ত স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। মোবাইলের উপরে বিধিনিষেধের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্কুলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ফোন। ব্যাহত হয় পাঠদান। সরকারি নির্দেশিকায় বিষয়টিতে নজরদারির জন্য প্রধানশিক্ষকের উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নানা উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুলে ফোন না নিয়ে আসে তা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আবার কেউ ফোন আনলে তা যাতে লকারে সুরক্ষিত ভাবে রাখা যায়, সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে, ক্লাস চলাকালীন যেন কেউ যাতে ফোন ব্যবহার না করে কিংবা ফোনের আওয়াজে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়। শিক্ষামন্ত্রী স্কুলে পড়াশোনার ধারাবাহিকতার উপরে জোর দিয়েছেন।
মোবাইল ফোন কীভাবে কাজে বিঘ্ন ঘটায়, তা বোঝাতে ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ঋষি সুনাক। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি যখনই কিছু বলতে যাচ্ছেন, বার বার বেজে উঠছে ফোন।
ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘প্রায় এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে, ফোনের জন্য কী ভাবে তাদের পাঠদান বিঘ্ন ঘটে। অনেক স্কুল ইতোমধ্যেই ফোনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশের উন্নতি ঘটেছে। এ বার নতুন করে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হল। যাতে সব স্কুলই এই বিষয়টি মেনে চলে। শিক্ষার্থীদের যে শিক্ষা প্রয়োজন, তা যেন সকলে পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই আমরা।’
সুনাকের এই ভিডিও’র সমালোচনা করেছেন অনেকেই। বিরোধী লেবার পার্টিও ওই ভিডিওকে ব্যঙ্গ করে একই ধরনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুনাক কিছু বলতে যাচ্ছেন কিন্তু বার বার ফোনে নোটিফিকেশন আসছে। কখনও ব্রিটেনে আর্থিক মন্দার খবর আবার কখনও অভিবাসন কিংবা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা সংক্রান্ত বার্তাও আসছে ফোনে।