The news is by your side.

সৈয়দ আশরাফের প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

0 121

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চুতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কবরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, সৈয়দ আশরাফের বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। দলটির নেতাকর্মীরাও তাদের সঙ্গে নেই। তার প্রমাণ ১০ ডিসেম্বর ১০ লাখ মানুষের কথা বলে ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত করতে পেরেছেন তারা। ফলে দলটির নেতারা এখন মুখ দেখাতে পারছেন না। আসলে বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির হাঁকডাক খালি কলসি বাজার মতো।

সৈয়দ আশরাফের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু ছিল অপ্রত্যাশিত। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিশীলিত ছিলেন তিনি। তার লোভ-লালসা ছিল না। নতুন প্রজন্মের কাছে তার আদর্শ অনুসরণীয়।’

সৈয়দ আশরাফের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যেভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নিজের এলাকার মানুষকে সেবা দিয়েছেন, এতে তিনি নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এই নেতা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১/১১ সময়কালীন দলের দুঃসময়ে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরিচ্ছন্ন রাজনীতির যে উদাহরণ তিনি তৈরি করেছিলেন, তা সকলের জন্য অনুকরণীয়।

এছাড়া সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন অংগ-সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ। সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুত্র।

তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ১/১১ সময়কালীন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র।

তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল গ্রেফতার হলে সৈয়দ আশরাফ দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ-১ সদর আসন থেকে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ।

২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই তাকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তর বিহীন মন্ত্রী করা হয়। এক মাস এক সপ্তাহ দপ্তর বিহীন মন্ত্রী থাকার পর ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। সূত্র: বাসস

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.