জয়া আহসান, পরীমণি পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিমের যৌনসঙ্গী ছিলেন বলে জানিয়েছেন সমালোচিত লেখিকা জান্নাতুন নাঈম প্রীতি। তার প্রকাশিত ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ গ্রন্থে এমনটা দাবি করেছেন তিনি। গ্রন্থের সেই লেখার অংশটুকুর স্থিরচিত্র সামাজিক মাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রীতি লিখেছেন, ‘এই লোলুপের দল বাদেও একে একে আমার জীবনে এসেছিল যে প্রেমিকেরা তাদের দেখে প্রেম বলে কিছু নেই জেনে চেষ্টা করেছিলাম এক নতুন জীবন কিছুদিনের জন্য বেছে নিতে, যেখানে হাত বাড়ালেই সঙ্গী, হাত ছুঁলেই প্রেম! সেই ধারাবাহিকতায় শুয়েছিলাম গিয়াসউদ্দিন সেলিমের সাথে। শুয়ে শুয়েই সেলিমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কতগুলো মেয়ের সাথে শুয়েছ তুমি? সে উদাস গলায় বলেছিল—পঞ্চাশের ওপরে হবে। যাদের সাথে শুয়েছি তাদের অধিকাংশেরই নাম ভুলে গিয়েছি।’
প্রীতি আরও দাবি করেন, জয়ার সঙ্গে কয়েক বছর নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করেছেন সেলিম। শুধু তাই নয় আরেক বিতর্কিত নায়িকা পরীমণি নিজ ইচ্ছায় তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন শয্যাসঙ্গী হওয়ার জন্য।
সেলিম ও প্রীতির কথোপকথনের অংশ লেখা আছে, কথায় কথায় সেলিম বলেছে—জয়ার সাথে শুয়েছি টানা কয়েক বছর। তখন প্রীতি তাকে জিজ্ঞেস করেন, জয়া মানে? অভিনেত্রী জয়া আহসান? তখন সেলিম তাকে বলেন, আরে হ্যাঁ।
পরীমণি প্রসঙ্গে প্রীতি লিখেছেন, ‘সেলিমের ভাষ্যমতে বাংলাদেশের হালের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি সেলিমকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সেলিমের অ্যাসিসট্যান্ট মুক্তাকে কল দিয়ে…।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না গিয়াসউদ্দিন সেলিম। তারা দাবি, প্রীতি এসব বানিয়ে লিখেছেন। তিনি বলেন, ‘উনি যা লিখেছেন সে বিষয়ে আমি কিছু জানি। যে কেউ তার মনগড়াভাবে লিখতে পারেন। এগুলো নিয়ে আমি ভাবি না। এগুলো মামুলি ব্যাপার। আর এ বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্যও করতে চাই না।’
তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রীতির দাবি নিয়ে জয়া কিংবা পরী—কেউই মুখ খোলেননি। যদিও নেটিজেনরা তাদের বক্তব্যের অপেক্ষায়।