The news is by your side.

সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের ৩ যুদ্ধজাহাজ

0 110

 

গত নয়দিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতে বন্ধ রয়েছে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌরুট। এই নৌপথে কোন যানবাহন নামলেই লক্ষ্য করে ছোঁড়া হচ্ছে গুলি। তবে এবার সেন্টমার্টিনের দ্বীপ থেকে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

গত এক সপ্তাহ ধরে একই জায়গায় নোঙর করে আছে ওই জাহাজগুলো। সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, জাহাজগুলো থেকেই মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে ভারি গোলাবারুদ এবং মর্টার শেল ছোঁড়া হচ্ছে। একারণে আতঙ্কিত দ্বীপের বাসিন্দারা।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মিয়ানমারের ৩টি যদ্ধজাহাজ সাগরে তাদের জলসীমায় নোঙর করে আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আওতাধীন সেন্টমার্টিনের বিচকর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন।

তিনি বলেন, গত রাতে মিয়ানমারের দিক থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে এসেছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেটিঘাট থেকে মিয়ানমারের জলসীমায় দেখা যাচ্ছে দেশটির ৩টি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে অবস্থান করছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এ যুদ্ধজাহাজ মিয়ানমারের জলসীমায় গত দুদিন ধরে অবস্থান করছে। শুক্রবার সকালেও সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে জাহাজগুলো দেখতে পায় স্থানীয়রা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গত তিনবার বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোটে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় দ্বীপবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এবার যুদ্ধজাহাজ দেখতে পাওয়ায় নতুন করে আবারও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, সাগরের মিয়ানমার অংশে যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করায় আপাতত এ নৌপথ দিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। সার্ভিস ট্রলারগুলো বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করছে।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টানা সাড়ে তিন মাস ধরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের দুটি শহরসহ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্তচৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এখন মংডু দখলের জন্য লড়ছে তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.