ইজ়রায়েলি মহিলাদের বন্দুকের অধিকার নিয়ে অনেক দিন ধরে লড়াই করেছেন। এখন আবার ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতে শত্রুপক্ষের বিনাশ করতেও প্রস্তুত ইজ়রায়েলের একদা মডেল ওরিন জুলি।
ওরিন ‘ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)’-এর সেনা হিসাবে দীর্ঘ দিন চাকরি করেছেন। কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক বছর ফ্যাশন মডেল হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।
আইডিএফ বাহিনীতে থাকার সময় বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্রের সঙ্গে খোলামেলা ছবি তুলে ইজ়রায়েলি সংবাদপত্রের শিরোনামে আসেন ওরিন। অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যমেও জায়গা করে নেন। তখনই তাঁর নাম দেওয়া হয় ‘বন্দুকের রানি’।
সমাজমাধ্যমে ওরিনের অনুরাগীর সংখ্যা পাঁচ লক্ষেরও বেশি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীরা বেশ কয়েকটি ফ্যানপেজও চালান।
মডেল থাকাকালীন বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন ওরিন। পরে তিনি আইডিএফ-এ যোগ দেন।
আইডিএফে কাজ করার সময় সেনার পোশাকে বহু বার তাঁর ছবি ভাইরাল হয়েছে।
২০১২ সালে ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ওরিন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৩।
ওরিন ইনস্টাগ্রামে এক বার লিখেছিলেন, ‘‘সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সময় আমি খুব ভীতু ছিলাম। তার আগে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে।’’
ওরিন আরও বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে প্রথম বার অস্ত্র হাতে তুলেছিলাম আমি। আমার নিজেকে এক জন যোদ্ধা বলে মনে হয়েছিল। এক বছরের মধ্যেই আমি বিভিন্ন বন্দুক চালানোয় পারদর্শী হয়ে উঠেছিলাম।’’
সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ চলার সময় ওরিন এক বার গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে আবার ইজ়রায়েলি সেনায় যোগ দেন। ইজ়রায়েলের হয়ে রণক্ষেত্রে গিয়েও বন্দুক তুলেছেন ওরিন। এর পর তাঁকে সেনা সদস্য থেকে অফিসার করে দেওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য জেরুসালেম পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওরিন বলেন, ‘‘যখন আমি শুনলাম যে আমাকে অফিসার করা হয়েছে, তখন আমি উত্তেজনায় কেঁদে ফেলেছিলাম।’’
এর পর তিনি সাময়িক ভাবে সেনা থেকে অবসর নেন। ২৮ বছর বয়সে পুনরায় আইডিএফে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন ওরিন।
ইজ়রায়েলের নারী অধিকার কর্মী হিসাবে নাম রয়েছে ওরিনের। এক ইজ়রায়েলি তরুণীর ধর্ষণের ঘটনা ওরিনকে এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে তিনি সে দেশের মহিলাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া নিয়ে আন্দোলনও শুরু করেন।
বর্তমানে ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সংঘাতের সময় আবার দেশের হয়ে বন্দুক তুলে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ওরিন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন বন্দুক হাতে ছবি।