The news is by your side.

সুন্দরবনে বেড়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আনাগোনা

0 102

সুন্দরবনে  আগের তুলনায় বেশি দেখা মিলছে বাঘের । বনে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক এবং বনকর্মীরা প্রায়ই বাঘ দেখতে পাচ্ছেন। বাঘশুমারির জন্য স্থাপন করা ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে কয়েকটি স্থানে বাঘের সঙ্গে এবার শাবকের ছবিও ধরা পড়েছে ।

বাঘ গবেষক ও বন বিভাগ জানিয়েছেন বনে আগের তুলনায় বাঘের প্রজনন বেড়েছে, সেই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে বলে ।ফলে এবারের জরিপে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছেন তারা।

ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকরা জানান, বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে ক্রাউন নামের একটি জলযানে সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা একটি বাঘকে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকার নদী সাঁতরে পার হতে দেখেন।

৩ সেপ্টেম্বর সকালে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা এলাকায় সাঁতরে একটি বাঘকে নদী পার হতে দেখার দুর্লভ সুযোগ পান সাম্পান নামের আরেক জাহাজের পর্যটকরা। একই দিন দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের কাছে আলীবান্দা এলাকায় আরেকটি বাঘকে নদী সাঁতরে পার হতে দেখেন বনরক্ষীরা।

গত ৮ আগস্ট সকালে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্র অফিসের সামনে দেখা মিলেছিল বাঘের। বাঘটি বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে। এ সময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন এক বনরক্ষী। এ ছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি বনের সুপতি স্টেশনের চন্দেশ্বর ফরেস্ট অফিসের পুকুরপাড়ে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তিনটি বাঘকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ মাহবুব হাসান জানান, এর আগে কখনও আলীবান্দা ট্যুরিজম এলাকায় বাঘ দেখা যায়নি। তবে কচিখালী ও চান্দেশ্বর এলাকায় নিয়মিত বাঘের আনাগোনা দেখা  যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘশুমারি করা হয়। ওই শুমারিতে বনের কয়েকটি স্থানে এবার বড় বাঘের সঙ্গে বাচ্চার ছবিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। এ ছাড়া গোটা সুন্দরবনে খাল সার্ভের মাধ্যমে বাঘের পায়ের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে।

আগামী নভেম্বর থেকে বনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে একই পদ্ধতিতে বাঘশুমারি করা হবে। প্রতিটি রেঞ্জের ১৪৫টি পয়েন্টে দুটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে, যা থাকবে ৪০ দিন। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে পাওয়া ছবি এবং বাঘের পায়ের ছাপ ঢাকায় ল্যাবে পর্যালোচনা করা হবে। এর পর ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই বাঘ দিবসে বাঘশুমারির ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.