সুদানে চলমান সংঘাতের কারণে কূটনীতিকদের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার ভোরের দিকে ৬টি বিমান ব্যবহার করা হয়। দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ায় রাজধানী খার্তুমের মার্কিন দূতাবাসও সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সুদানের সেনা ও বেসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে ভারী অস্ত্র নিয়ে খার্তুমসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষসহ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। পরিস্থিতি বিবেচনায় রবিবার ভোরে ৬টি বিমানে করে নিজ দেশের নাগরিক ও কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় এবং সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলে টুইট বার্তায় জানিয়েছে আরএসএফ। তবে কতজন মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে খার্তুমে সহিংসতা শুরুর পর এটি দ্বিতীয় উদ্ধার কার্যক্রম। তবে পুরো বিষয়টি কীভাবে করা হলো, বিস্তারিত জানা যায়নি।
ছয়টি বিমান দূতাবাসের কম্পাউন্ডে অবতরণ করেছিল। কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারী পোস্টে লিখেন, তারা মার্কিন দূতাবাসের ওপর হেলিকপ্টারের শব্দ শুনতে পান। তবে বিবিসি এর সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।
খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেনা ও বেসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। কয়েকটি বিমান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমানবন্দর। এ অবস্থায় সেখানে ফ্লাইট পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে (২৩ এপ্রিল) শনিবার ১৫০ জনেরও বেশি নাগরিক, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাদের সাগরপথে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশগুলোর পাশাপাশি মিসর, পাকিস্তান এবং কানাডার নাগরিক ছিলেন।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা নিজেদের কর্মী সরিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজছে। যাদের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন তাদের জন্য একটি হটলাইন খোলা হয়েছে। সুদানে ব্রিটিশ নাগরিকরা কোথায় অবস্থান করছেন, তা পররাষ্ট্র দফতরে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়া কানাডা সরকার সুদানে তাদের নাগরিকদের ‘নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে’ বলেছে।