অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় কারাগারে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে র্যাব হেফাজতে সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম জানান, শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। তারপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বুধবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
তিন সদস্য হলেন এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। সিনহাকে গুলি করার সময় তারা শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হন।
এ ঘটনায় সিনহার বোন মামলা করেন। সেই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ আসামিকে রিামান্ডে নেওয়া হলো। তাদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে রিামান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওসি প্রদীপসহ তিন আসামির পঞ্চম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রিমান্ডে নেওয়ার সময় এবং রিমান্ড শেষে আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনে কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের হেফাজতে নেওয়া তিন এপিবিএন সদস্যকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পুলিশের অস্ত্রটি আদালতের আদেশমতে শনিবার র্যাব হেফাজতে নেবে বলে তিনি জানান।