দেশের সব সিটি করপোরেশনকে স্বাবলম্বী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করপোরেশনগুলোকে যাতে নিজেদের অর্থে নিজেরাই চলতে পারে এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবতী সহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ দেশের সব সিটি করপোরেশনকে স্বাবলম্বী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। করপোরেশনগুলোকে যাতে নিজেদের অর্থে নিজেরাই চলতে পারে এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হবে। পর্যায়ক্রমে সব কয়টি সিটি করপোরেশনকে স্বাবলম্বী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের যেকোনো প্রকল্পে ব্যয়ের একটি বড় অংশ সিটি করপোরেশনকে দিতে হয়। ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প হলে তারা ১০ কোটি টাকা দেয়, ৯০ কোটি টাকা সরকারকে দিতে হয়। এটা আর কদিন চলবে। তাই প্রধানমন্ত্রী করপোরেশনগুলোকে আয় বাড়াতে বলেছেন। ‘
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে সি পাওয়ার নামে প্রকল্প রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখানে সি পাওয়ার হবে কেন? এটা হওয়া উচিত হার পাওয়ার, তার ক্ষমতায়ন। এজন্য নাম পরিবর্তন হয় হয়েছে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’।
সভায় কয়েকটি উপজেলায় মিল্কভিটার কার্যক্রম সম্প্রসারণে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। এবিষয়ে পরিকল্পনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অন্যান্য উপজেলায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে। দুগ্ধ পণ্য ডাইভারসিটি করার জন্য পনির, ঘি, আইসক্রিম এগুলো তৈরি করুন। এজন্য বেসরকারি খাতকে উৎসাহ ও সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেবে সরকার।
বজ্য ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আপনারা বর্জ্যগুলো গাঙ্গে (নদী) ফেলবেন না। নদী নষ্ট করবেন না। যেখানে যেখানে শিল্প-কারখানা স্থাপন হবে সেখানে সিইটিপি (কেন্দ্রীয়) স্থাপন করতে হবে। নদী যাতে দূষিত হয় সেটা নদী রক্ষা কমিশনকে লক্ষ রাখতে হবে।