The news is by your side.

সাশ্রয়ী মূল্যে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আসবে :প্রধানমন্ত্রী

0 145

সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল আমদানি করতে ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চার দিনের ভারত সফরের বিষয়ে জানাতে বুধবার গণভবনে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন বলেন, আইওসিএলের অন্তর্ভুক্তির ফলে তুলনামূলক স্বল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজেল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল, এভিয়েশন ফুয়েল আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

তিনি বলেন, আমরা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করি। এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। একেবারে শূন্য হাতে আসিনি সেটা বলতে পারি। বিষয়টি হলো আমাদের কে কীভাবে দেখছে সেটি হলো বিষয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৩১.৫৭ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার এবং ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটার) পাইপলাইন ভারত সরকারেরর অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অংশের ১২৬.৫০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মধ্যে ১২৫ কিলোমিটার পাইপালাইন স্থাপন শেষ হয়েছে। পাইপলাইন নির্মাণের ফলে জ্বালানি তেলের পরিবহণ ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং সহজে, দ্রুততম সময়ে ও প্রতিকূল পরিবেশেও দেশের উত্তরাঞ্চলের রেলের চাহিদা মোতাবেক ডিজেল ভারত থেকে আমদানি করা যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের চারদিকে ভারত। সেই দেশ থেকে ব্যবসা, বাণিজ্য, কৃষি, যোগাযোগ, সব বিষয়ে সহযোগিতা আমরা পাই। এমনকি পাইপ লাইনে করে তেল নিয়ে এসেছি। একেবারে শূন্য হাতে এসেছি, বলা যাবে না।

সরকারপ্রধান বলেন, সফরে ভারতের যথেষ্ট আন্তরিকতা আমি পেয়েছি। বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল সবসময় এক থাকে। একাত্তরে যেমন সব দল সমর্থন দিয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা দেশের সঙ্গে সমস্যা থাকতেই পারে, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। আমাদের নীতি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক হয়। এ ছাড়া ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গেও পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.