চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুরহস্য নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সোমবার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, খুন নয়, আত্মহত্যা করেছেন সালমান।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাবনূরকে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই আত্মহত্যা করেছেন সালমান। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মৌসুমী।
মৌসুমী: প্রতিবেদনে যা–ই বলা হোক, আমরা শিল্পীরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখানে শাবনূরকে কেন জড়ানো হচ্ছে, সেটা বুঝলাম না। শাবনূর ও সালমান দুজন কলিগ ছিল। একসঙ্গে কাজ করেছে। বন্ধু ছিল। আমিও তো সালমানের বন্ধু ছিলাম। তাই বলে আমাকে নিয়ে কি টানাটানি হবে? আমরা তো আর সালমানকে ফিরে পাব না। তাঁর রহস্যময় মৃত্যুর সুরাহা করতে দীর্ঘ বছর লেগে গেছে। কেন লেগেছে, এটাও একটা রহস্য। এই প্রতিবেদন নিয়েও অনেক রহস্য থাকতে পারে। তারপর আমরা প্রতিবাদ করছি না। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে জড়িয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ, মানা যাচ্ছে না। তা ছাড়া এ দেশে সালমান শাহর অগণিত ভক্ত আছে। তাঁদের সামনে শাবনূরকে হেয় করা হচ্ছে, দেশবাসীর কাছে হেয় করা হচ্ছে। সালমান–ভক্তদের ঘৃণা ও আক্রোশের শিকার হতে পারেন শাবনূর। এই প্রতিবেদনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ‘সালমানের মৃতদেহ যারা দেখেছেন, তারাও বিশ্বাস করেননি সালমান আত্মহত্যা করেছে। আপনি যদি কাউকে গুলি করে মারেন তাহলে তার দেহে গুলির দাগ থাকবে। কেউ গলায় দড়ি দিয়ে মরলে অবশ্যই গলায় দাগ থাকবে, চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যাওয়া কিংবা শিরাগুলোতে চিহ্ন থাকবে। আমি নিজেও সালমানের লাশ দেখেছি। সালমানের মৃতদেহে আত্মহত্যার কোনো চিহ্ন দেখিনি।’