টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে চিরতরেই হারিয়ে গেছে টাইটান নামের সাবমেরিনটি। সেই সাথে হারিয়ে গেছে পাঁচটি তাজা প্রাণও। টাইটান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন সিনেমা নির্মাণের জন্য টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ৩৩ বার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে গিয়েছিলেন।
জেমস ক্যামেরনের মতে, টাইটান নির্মাণে অর্থ বাঁচানোর চেষ্টা ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি দুই ছিল। যার পরিণামে এই বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি নিয়ে বেশ সন্দিহান।’ তিনি আরো বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা আমি হাড়ে হাড়ে অনুভব করেছি। যখন ডুবোযানটির ইলেকট্রনিক্স, কমিউনিকেশন ব্যর্থ হয়েছে এবং একই সঙ্গে ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার ব্যর্থ হয়েছে। তখনই স্পষ্ট যে ডুবোযানটি আর নেই।’
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী পাঁচ আরোহী নিখোঁজের খবর প্রকাশ্যে আসার সময়ই তাদের মৃত্যু হতে যাচ্ছে বলে নিজের ধারণার কথা জানিয়েছিলেন ক্যামেরন।
বৃহস্পতিবার প্রথম টাইটানের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশন্স ডুবোযানে থাকা পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর ঘোষণা দেয়। প্রথমে ডুবোযানটি বিস্ফোরণে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড।