২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। ১৮ এপ্রিল এ মামলায় রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। এরপর বিচারক রায়ের দিন ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলামসহ ৩৮ জন আসামিকে আদালতের হাজির করা হয়। মামলায় আবদুস সাত্তার নামের এক আসামি জামিনে আছেন। এ ছাড়া ৯ আসামি পলাতক ও দুজন মারা গেছেন।
আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আমিনুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে আরও যুক্ত হন আইনজীবী আবদুল মজিদ, মিজানুর রহমান ও শাহানারা পারভিন প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল লতিফ, অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি ফাহিমুল হক ও আইনজীবী আবদুস সামাদ প্রমুখ।
সাতক্ষীরা আদালত পরিদর্শক জানান, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় বিএনপির অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালান। হামলায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় করা তিনটি মামলার মধ্যে একটি মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ নেতা-কর্মীকে ৪ থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গত বছরের ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা অপর দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ শেষ হয়েছে।