ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়টি মীমাংসা হতে না হতেই বিনা মেঘে বজ্রপাত! মহাগুরুত্বপূর্ণ ভারত সফরের আগে হঠাৎই টালামাটাল হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব গোপন রাখায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন সাকিব আল হাসান। কোনো এ সময়ে নিষেধাজ্ঞা? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। জানা গেছে, সাকিবের চাওয়াতেই নাকি ভারত সফরের আগেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান তেমনটিই জানালেন।
গণমাধ্যমকে আকরাম খান বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি যে, এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, কেন ভারত সিরিজের আগেই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো।’
তিনি বলেন, ‘আকসু সাকিবকে বলেছে, এখন যদি শাস্তির ঘোষণা না আসে, তাহলে আরও কিছুদিন পরে হলেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। সে হিসেবে ভারত সিরিজের মাঝামাঝিতে এ ঘোষণা আসতো। যা দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতো। আর সাকিব তা চাননি। সাকিব আরও বলেন, যদি শাস্তির ঘোষণা আরও পরে আসে তবে তার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে না। তাই সে এখন নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। এর ফলে বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা হলেও থাকবে।’
জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। তবে তা গোপন রাখেন আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) কাছে। এর দায়ে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছর শিথিল করা হয়। এ সময়ে ফের অপরাধ করলে আগের শাস্তিই বহাল থাকবে। আর কোনো দুর্নীতিতে না জড়ালে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।