ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিসে গেছেন ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান ওমর।
বুধবার দুপুরে ডিবি অফিসে যান তিনি।
ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় আমি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। অনেকেই আমাকে ফোনে কটূক্তি করেছে। আমাকে ফোনে না পেয়ে আমার মেয়েকে, আমার ছেলেকেও ফোনে অকথ্য কথাবার্তা বলছেন।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘এটা ভুল বোঝাবুঝি। আমি তখন বলেছি, তোমরা আমার ফটো তুলেছো কেন? এখন তারা যদি লুকিয়ে লুকিয়ে ফটো তোলে তাহলে তো আমি বলবোই।’
শাহজাহান আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে আমি দুর্ব্যবহার করিনি। কখনও প্রশ্নই ওঠে না। এখন আপনারা মিডিয়া পারসন হিসেবে আমাকে নানান প্রশ্ন করতেই পারেন। কিন্তু সৌজন্যতাও তো দেখানো উচিত।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষের সুযোগ কোথায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা দল করা আর দল পরিবর্তন করা- এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, সাংবিধানিক স্বার্থে আমি দল পরিবর্তন করতেই পারি।’
বেলা ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করতে সুপ্রিম কোর্টে যান শাহজাহান ওমর। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। যদিও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার জন্যই সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন- এমনটা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একটা কাজে এসেছিলাম।’
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শাহজাহান ওমরের প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার খবরও এসেছে।
মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে শাহজাহান ওমর নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।