The news is by your side.

সাইবার প্রযুক্তিকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে সরকার: ফখরুল

0 141

 

বিএনপির আন্দোলন, সমাবেশ দমাতে সরকারের নতুন অস্ত্র ইন্টারনেট শাট ডাউন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে জনগণকে, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মতপ্রকাশের অধিকারকে।

রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইন্টারনেট-শাটডাউনের ঘটনা নাগরিক অধিকারের ভয়ংকর লঙ্ঘন। এটা গুম-খুনের মতোই একটা অপরাধ। কোনো ব্যক্তি গুমের শিকার হলে কেবল একজন হারিয়ে যান। কিন্তু কোনো স্থানে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হলে তার শিকার হয় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ। মানুষকে খুন করা যেমন অপরাধ, তেমনি অনলাইন থকে তার অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলাও অপরাধ। ক্রমাগতভাবে এই অপরাধ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, সরকার পতনের চলমান এক দফা আন্দোলনের সম্পূরক হিসেবে এই সরকারের ইন্টারনেট শাটডাউন, নজরদারি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, মোবাইল ফোন তল্লাশিসহ সব ধরনের ডিজিটাল নির্যাতনের অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও জানাই।

১২ জুলাই নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে ওই এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা বিচ্ছিন্ন ও বিঘ্নিত করাসহ গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশগুলোতেও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইন্টারনেট অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘এক্সেস-নাউ’ এর ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী- ইন্টারনেট শাটডাউনের সংখ্যার হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। আগের চারটি দেশে (ভারতে ৮৪ বার, ইউক্রেনে ২২ বার, ইরানে ১৮ বার ও মিয়ানমারে ৭ বার) বিদ্রোহ অথবা যুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করেছে যা তাদের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণ বলে তারা দাবি করেছে। আমাদের প্রশ্ন পঞ্চম স্থান অধিকারকারী বাংলাদেশেও কি কোনো যুদ্ধ চলছে। কাদের বিরুদ্ধে সরকার সেই যুদ্ধ করছে। ইতিমধ্যে ৬ বার ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটালাইজেশনকেই জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ডিজিটাল মাধ্যমে নিপীড়ন, জনগণের ওপর নজরদারি, ফোন কল রেকর্ড, অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, অনলাইনে নারীদের প্রতি সহিংসতাকে উসকে দেওয়া, ভিন্ন মতালম্বীদের ব্ল্যাকমেইল করা, ভুল তথ্য-বিকৃত তথ্য ও কন্টেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে প্রপাগান্ডা চালানোসহ নানা অপরাধ করছে সরকার।

তিনি বলেন, জনগণের টাকায় নজরদারি প্রযুক্তি কিনে জনগণের উপরেই গোয়েন্দাগিরি করছে এই সরকার। বিরোধী রাজনীতিকদের আইডি হ্যাক করে তাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো আইনের দ্বারা নির্যাতন করা হচ্ছে। সাইবার প্রযুক্তির অপব্যবহার করে যত ধরনের অপরাধ করা সম্ভব, এই সরকার তা সবই করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমান রুমন, আলী মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.