The news is by your side.

সরবরাহ সংকটে আবারও বাড়ল পেঁয়াজের দাম

0 122

দেশের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আবার ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কমে যাওয়ায় এবং সরবরাহ সংকটের কারণপ্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের দামে। এক সপ্তাহ আগেও পাইকারিতে মসলা পণ্যটি ৮৭ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। কেজিতে এখন ১১ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে।

নভেম্বরের শুরুতে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ছিল ১১৫ টাকা। পরে দাম কমতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তা কেজিতে ১০০ টাকার নিচে নেমে আসে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলসি খোলার সময় ডলারের দাম বাড়তি থাকায় আমদানিকারকরা এটি কম খুলছেন।

দেশের স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটি কম আসছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাজারে।

মঙ্গলবার দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা ছোট জাতের পেঁয়াজের কেজি ৯৮ থেকে ১০৩ টাকা। আর নৌপথে আসা চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

অথচ এক সপ্তাহ আগেও ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যটি পাইকারিতে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কেজিতে বেড়েছে ১১ থেকে ১৩ টাকা। খাতুনগঞ্জের আড়তে চীনা ও ভারতের পেঁয়াজ ছাড়া আর কোনো দেশের পণ্য নেই। সেখানে দেশি পেঁয়াজের দেখা মেলেনি।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারগুলোতে আমদানি করা পেঁয়াজের ৯০ শতাংশ আসে ভারত থেকে।

এ ছাড়া মিয়ানমারের কিছু পেঁয়াজ আসছিল। এখন চীনা ও ভারতীয় ছাড়া বাজারে আর কোনো দেশের পেঁয়াজ নেই।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। নতুন করে দাম বাড়ার পেছনে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসবে। এ কারণে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এতে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। নতুন পেঁয়াজ এলে বাজার স্থিতিশীল হবে বলে তাঁরা জানান।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.