অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় সম্রাটকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ দিকে সম্রাটকে আদালতে আনার খবরে আদালত পাড়ায় ভিড় করেছেন তার কর্মী ও সমর্থকরা। তারা সম্রাটের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু আদালতকে বলেন, আসামি সম্রাটের দেখানো মতে তাঁর অফিস থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামি সম্রাটকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অপরদিকে সম্রাটের আইনজীবী মাহমুদা আক্তারসহ কয়েকজন আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেন, সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যসব অভিযানে তল্লাশি করার সময় গণমাধ্যম কর্মীদের থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু সম্রাটের ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীদের তল্লাশির সময় থাকতে দেওয়া হয়নি। সম্রাটের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
মাহমুদা আক্তার আদালতের কাছে দাবি করেন, সম্রাট অসুস্থ। তার হার্ট সার্জারি করা রয়েছে। ভাল্বের সমস্যা আছে। তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সম্রাটের জনপ্রিয়তার কারণেই তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে। আমরা সরকারি দলে আছি না বিরোধী দলে আছি তা বুঝতে পারছি না।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সম্রাটকে রমনা থানার দুই মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের এবং আরমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ দিন রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। একই সঙ্গে এসব মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপরও শুনানি ছিল। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ওই দিন সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। আরমানকে অবশ্য মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দুজনের রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী।
গত ৭ অক্টোবর রাতে রমনা থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আরমানকেও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।