ব্যক্তিগত জীবনে স্ক্যান্ডাল নিয়ে যথেষ্ট খেসারত দিতে হয়েছে অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে। মানসিকভাবে শক্ত থাকার কারণে হারিয়ে যাননি এ অভিনেত্রী। ফিরে এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে। গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কটা শীতলই ছিল তার। এবার ঘুচালেন সেই দূরত্ব।
শনিবার অভিনয় শিল্পী সংঘ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন খুলে কথা বললেন প্রভা। তিনি জানান, তিনি মনে করেন, তার কাছে এই সমাজের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
অভিনয় শিল্পী সংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে ভালো লাগা কাজ করছে উল্লেখ করে প্রভা বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমি গ্রেটফুল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে।’
নিজের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একেকজনের গল্প একেক রকম। আমার গল্পটা হচ্ছে, ছোটবেলায় ভয় লাগত যে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি, আম্মু জানলে মারবে। আর এখন ভয় হচ্ছে, আমি যখন হেনস্তার শিকার হই, সাংবাদিক জানতে পারলে কি হবে! যারাই আমার জীবনে এসেছে, তারাই চলে যাওয়ার সময় যখন কোনো কারণ পায়নি তখনই একটা ব্লেইম গেম আমার সঙ্গে খেলেছে। আমার নামে অভিযোগ দিয়ে গেছে।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘ডিভোর্সের পেপার যখন আমি ফাইল করি তখন আমার বাবা-মাকে জানাচ্ছিলাম এই জিনিসটা তো আমার পাওনা। আমি কেন পাব না? এটা তো ঠিক হচ্ছে না। আমি ধর্মীয়ভাবে কিংবা আইনগতভাবেও তো এটা পাই। সব কিছুই করতে পারতাম সাংবাদিকরা যদি আমাকে সাহায্য করতেন। আপনাদের সঙ্গে আমার এই দূরত্বটা কেন আমাকে একটু বলবেন?’
প্রভা বলেন, ‘কিছু দিন আগে সামাজিকমাধ্যমকে আমি জানিয়েছি— আপনারা আমার সঙ্গে কথা না বলে নিউজ করবেন না। আমরাও তো চেষ্টা করি ধর্মীয় রীতি পালন করতে। যেমন রোজার সময় আমাদের মন নরম থাকে। সেই সময় প্রত্যেকেরই উচিত কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাওয়া। সেই সময় আমি এটা নিয়ে গুছিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিই ক্ষমা চেয়ে। এর পরই আমার কানে আসে— নিউজ হয়ে গেছে, অবশেষে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রভা। আমি কেন ক্ষমা চাইতে যাব? ক্ষমা তো এই সোসাইটির আমার কাছে চাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘এর পর অনেকে বলেছেন- আমি আসলে সাবার মনযোগ চাই। সেকারণেই এরকম স্ট্যাটাস দেই। এটা আমার সঙ্গে প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে কোনো ভাবেই এতো অন্যায় হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রতিবাদ জানাতে পারি না।’