দেশের বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রবিবার বিকালে অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহসহ চারজনকে ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে তারপর ভোক্তার অফিস ত্যাগ করতে বলেন মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সমবায় অধিদফতর থেকে নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় তাদের কাছে বৈধ কাগজ চাওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই– সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করা যায় কিনা এই জায়গায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে হাত দিতে হবে। সমবায় সমিতি ব্যবসা করতে পারে কিনা আমি জানি না, এই বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করি দেখবে। এই ধরনের সমবায় সমিতি, আড়তদাররা কিন্তু মধ্যসত্বভোগী। তারাই কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করছে। তারা ইচ্ছামতো দাম কমায়–বাড়ায়। সরকারের উচিত তাদের আইনের আওতায় আনা।
বৈধ কাগজপত্রের জন্য যাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে তারা হলেন—তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ ও সেক্রেটারি হানিফ মিয়া, কাজী ফার্মের ডিলারের একজন প্রতিনিধি এবং ডিমে অর্গানিক সিল মারার বিষয়ে অভিযুক্ত একজন।
সভা চলাকালে ভোক্তার মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহকে প্রশ্ন করেন তাদের ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুমতি কোথা থেকে নেওয়া।
তিনি জানান, সমবায় সমিতির কাছ থেকে নিয়েছেন। তখন সকল কাগজপত্র চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে তাকে থাকতে বলে অন্য কাউকে দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে আনতে বলা হয়। সেই সঙ্গে সেক্রেটারিকেও থাকতে বলা হয়।