ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নব্বই দশক থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও। বাণিজ্যিক ও শৈল্পিক উভয় ধারার সিনেমাতে সাবলীল অভিনয় তাকে এনে দিয়েছে ব্যাপক তারকাখ্যাতি। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ঋতুপর্ণা।
একবাক্যে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে কিছু বলুন?
-একজন সংবেদনশীল-আবেগি মানুষ যার জন্ম অভিনয়ের জন্য, যে তার ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন দু’টোকেই আগলে রাখতে চায়।
দর্শক কেন আপনাকে এতো ভালোবাসে?
– (স্বভাবসুলভ মিষ্টি হেসে) আমি সৎ এবং পরিশ্রমী, কখনো তাদের সঙ্গে প্রতারণা করিনি, তাই হয়তো এতোটা ভালোবাসে।
একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনার শক্তিশালী দিক কোনটি?
– আমি কখনো হাল ছেড়ে দেই না। সবসময় নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি।
সবাই বলে আপনি খুব সুন্দর করে কথা বলেন। এর রহস্যটা কি?
– এটা আসলে সহজাত। আমি মন খুলে কথা বলি এবং নিজস্ব স্টাইল অনুসরণ করি। এই যা।
অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজের কোন দিকটি নিয়ে কাজ করতে চান?
– আমি ভালো বাইক বা স্কুটি চালাতে জানি না। এ নিয়ে কাজ করতে হবে।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের জন্য সিনিয়র শিল্পী হিসেবে আপনার পরামর্শ…
– কখনো যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যেও না, ধৈর্য ধরো, ব্যর্থতাকে বরণ করতে শেখো। তাহলেই সফলতার স্বাদ পাবে।
শিল্পীর সামাজিক দায়বদ্ধতা বলতে আপনি কি বোঝেন?
– অনেক। শিল্পীরা সমাজে উদাহরণ তৈরি করতে পারে। মানুষ আমাদের আইডল মনে করে। ভালোবাসার জায়গাটাই মূলকথা। আমাদের মানুষকে ভালোবাসতে শিখতে হবে, বিশেষ করে আমরা যাদের কাছে প্রয়োজনীয়। পারলে তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তারকাদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাবার কথা বলছেন…
– অবশ্যই! জনপ্রিয়তা, খ্যাতি এগুলো ঈশ্বরের উপহার এবং আশীর্বাদ। সবাই এসব পায় না। আমাদের এগুলো যত্ন করে কাজে লাগানো উচিত, অপচয় নয়।
তারকা হওয়ার ভোগান্তিওতো আছে…
– হ্যাঁ। তাতো আছেই।
‘দহন’ ছবিতে আপনি বখাটেদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। বাস্তবে এমন কিছু হয়েছে?
– হরহামেশাই হয়। সবসময় ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছি।
সেটা তারকা হওয়ার আগে না পরে?
– সবসময়। এর সঙ্গে তারকাখ্যাতির সম্পর্ক নেই।
ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। এমন কোনো চরিত্র আছে যাতে অভিনয় করতে না পারাটা অপূর্ণতা মনে হয়?
– হ্যাঁ, ক্লিওপেট্রার চরিত্র।
একাকী সময় কীভাবে কাটে?
– একাকী আমি চুপ মেরে থাকি। নানান বিষয় নিয়ে ভাবি, প্রকৃতির কাছে নিজেকে বিলিয়ে দেই। লেখালেখি করি, গুনগুন করে প্রিয় গানগুলো গাইতে থাকি।
টিভিতে কি দেখেন? সর্বশেষ কি দেখেছেন মনে পড়ে?
– টিভি খুব একটা দেখা হয় না। ক’দিন আগে ফিলিপিন্স এর একটা ছবি দেখলাম, চার বোন এবং তাদের বিয়ে নিয়ে গল্পটা।
কেমন মানুষ আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?
– সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝা এবং সম্পর্ককে সম্মান জানানো মানুষদের দ্বারা আমি অনুপ্রাণিত হই।