প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ করতে কার্যকরী ব্যবস্থ নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যারা জঙ্গি-সন্ত্রাসী, তাদের কোনো ধর্ম, জাতি ও দেশও নেই। তারা সন্ত্রাসী, তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে দেখে ব্যবস্থা নিতে
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনার পাশাপাশি এ ঘটনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বেঁচে যাওয়ায় আল্লার কাছে শুকরিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমাদের ক্রিকেট খেলোয়াড়, তাদের এই মসজিদে নামাজ পড়তে যাবার কথা ছিল, তারা গিয়েছিলও। একজন আহত নারী তাদের ঢুকতে দেয়নি।
আগামীতে তাদের যেখানে খেলতে পাঠাব, তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাঠাব। এ বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ আমাদের দেশে যারা খেলতে আসে, তাদের আমরা যথাযথভাবে নিরাপত্তা দিই।
মসজিদে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের ঘৃন্য ঘটনা- যেটা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী ঘটনা। যেভাবে একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢুকে মানুষ সেখানে নামাজে ছিল তখন সেখানে তাদের গুলি করে হত্যার মতো জঘন্য কাজ আর কিছু হতে পারে।
তিনি বলেন, আমি চাই সমগ্র বিশ্ববাসী শুধু এই ঘটনার নিন্দাই প্রকাশ করবে না, সন্ত্রাস চিরতরে নির্মুলে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে যে দুটি মসজিদে এক যুবক গুলি চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করেন, তার একটিতে সফররত বাংলাদেশি ক্রিকেটার জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। এই হামলায় ক্রিকেটাররা অক্ষত থাকলেও তিনজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেক কষ্ট করে আমাদের দেশকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মানুষের কোনো মঙ্গল করতে পারে না, অমঙ্গল ছাড়া।
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা, এটা সব মানুষের স্বাধীনতা। আমাদের দেশে আমরা তা রক্ষা করতে পেরেছি- যে যার যার ধর্ম সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। সেই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।