স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যা হবে তাই আমরা করব। দেশে একটা নির্বাচন কমিশন আছে, সেই কমিশন তপসিল ঘোষণা করবে। তখন সশস্ত্র বাহিনীগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে। নির্বাচন কমিশন তাদের যেভাবে পরিচালিত করবে তারা সেভাবেই পরিচালিত হবে। দেশে একটা সুষ্ঠুতা নির্বাচন হবে এটাই আমরা আশা করি। আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেন, আপনারা কি ইয়াজউদ্দিনের কথা ভুলে গেছেন?’
রবিবার বিকেলে নোয়াখালীর চাটখিল থানা পুলিশের নবনির্মিত ব্যারাক ও কনফারেন্স রুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। এ দেশের মানুষ আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। জনগণ সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও দেশকে অচল করার চেষ্টা চালিয়েছে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা মনে করি জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। জনগণ যাদের সঙ্গে নেই তারা যতই আন্দোলন করুক তাতে কিছুই হবে না। কারণ জনগণই আসল শক্তি।
দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের কথা তুলে ধরে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরও বলেন, ভুয়া ভোটারদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন করেছিলেন। স্বচ্ছ ব্যালট পেপারই হচ্ছে সেই আন্দোলনের ফসল। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়ে আসছে। কে আসল আর কে গেল তাতে কিছু আসে-যায় না। নির্বাচন নির্বাচনের গতিতেই হবে। আমরা মনে করি এই কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে।