আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে তারা ষড়যন্ত্র আর লুটপাটের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এতে ‘নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা’ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বৈরতন্ত্রের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপির অপরাজনীতি ও অশুভ তৎপরতা কেবল ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কক্ষপথেই পরিচালিত হয়। দেশ ও জনগণের কল্যাণচিন্তা বিএনপি কখনও ধারণ করে না।
তিনি বলেন, তথাকথিত ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’-এর নামে হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের দুর্নীতি-লুটপাট এবং একুশে আগস্টের মতো নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সেই ভয়াবহ যুগে ফিরে যাওয়ার কোনও রূপরেখাকে সমর্থন দেবে না দেশের জনগণ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘দুর্নীতির বরপুত্র, খুনি, পলাতক আসামি’ আখ্যায়িত করে কাদের বলেন, তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশনে প্রণীত কোনও ‘রূপরেখা’ দেশের জনগণ পূর্ণ হতে দেবে না। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল কিংবা বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের নামে তথাকথিত যৌথ ঘোষণা ও ‘অল-আউট আন্দোলন’ জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু না। তাদের আন্দোলনের হুমকি-ধমকি আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন ছাড়া আর কিছু না। ঈদের পর, বর্ষার পর, পরীক্ষার পর তাদের আন্দোলনের অনেক হুমকি-ধমকি জনগণ দেখেছে।
বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির কাল্পনিক গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির আহ্বান বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলন হলো আগুন সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা এবং স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করা। আগামীতে তথাকথিত অভ্যুত্থান সৃষ্টির নামে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার অপরাজনীতি জনগণ প্রতিহত করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও প্রকার হত্যা-ক্যু ছাড়াই দেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে। দেশের গণতন্ত্র দেশের জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী পরিচালিত হবে। বাংলাদেশের ভোটাররা ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে আর কে আসবে না।