The news is by your side.

শেরপুরের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায়  মিষ্টি আঙ্গুর চাষ

জলিলের বাগানে থোঁকায় থোঁকায় ঝুলছে আঙ্গুর

0 86

 

রাকিবুল আওয়াল পাপুল,শেরপুর

ইতোপূর্বে শেরপুরের গারো পাহাড়ে কোকোয়া, কফি, চা, ড্রাগন ফলের সঙ্গে আঙ্গুর চাষের কথা শোনা গেছে। তবে যেসকল আঙ্গুর চাষ করা হয়েছে তা বেজায় টক, যা মুখে দেওয়াই দায়। কিন্তু গারো পাহাড়ে এবারই প্রথমবারের মত বাণিজ্যিকভাবে  মিষ্টি-সুস্বাদু আঙ্গুরের চাষাবাদ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল জলিল।

ভারতে ঘুরতে গিয়ে শখের বশে চারা সংগ্রহ করে দেশে নিয়ে আসেন তিনি। পরে এসব চারাগাছ নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছেন উদ্যোক্তা আব্দুল জলিল। এরইমধ্যে সুমিষ্ট ফল এসেছে বাগানে। স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় অধিক লাভের আশা করছেন এ উদ্যোক্তা।  এদিকে তার আঙ্গুর বাগান দেখে অনেকেই এর আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। আর এ ধরনের চাষে কৃষকদের সব ধরনের উৎসাহ ও সহযোগিতার করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

শেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রাম মেঘাদলে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল জলিলের বাগানে মাথার উপর বাঁশের মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোঁকায় থোঁকায় ঝুলছে আঙ্গুরের ছড়া। খেতেও বেশ সুস্বাদু, আর মিষ্টি রসালো ফল অনেকেই বাগান হতে কিনে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ চারা সংগ্রহ করছেন।

আব্দুল জলিল জানান, গত বছর ভারতে ঘুরতে গিয়ে শখের বসে দুই জাতের ১০টি আঙ্গুর ফলের চারা নিয়ে আসেন। এরপর আরো দুই ধাপে ৪০ জাতের ৮০টি চারা আনেন। নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে এসব চারা রোপণ করেন। এতে সব কিছু মিলিয়ে তার খরচ হয় এক লাখ ২০হাজার টাকা। পরিচর্যার পর বাগানে আসতে শুরু করেছে সুমিষ্ট ফল। থোঁকায় থোঁকায় আঙ্গুর ধরেছে প্রায় সব গাছেই। যা বিক্রি করে লাভের আশা করছেন। এছাড়া নিজেই উৎপাদন শুরু করেছেন আঙ্গুরের চারা।

আব্দুল জলিল বলেন, আমার কাছে চারা আছে, যদি কারো আগ্রহ থাকে তাকে দিতে পারবো। আঙ্গুর চাষ যে বাংলাদেশে হয়, আমি নিজে তার প্রমাণ পেয়েছি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারা লাগানোর ১০ মাস পর বাগানে আসে ফল। নতুন করে বৃহৎ পরিসরে বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছেন এই উদ্যোক্তা।

জলিল মিয়ার এই বাগান দেখে অনেক কৃষকই আগ্রহী হচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেকেই তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেছেন। এ ধরনের চাষে কৃষকদের সব ধরনের উৎসাহ ও সহযোগিতার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক জালাল উদ্দিন প্রথমবারের মতো আমাদের শ্রীবরদী উপজেলায় আঙ্গুর চাষ শুরু করেছেন। অন্য কোনো কৃষি উদ্যোক্তা যদি আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হন তাহলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হবে।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.