শেয়ারবাজারে দরপতন রুখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির হস্তক্ষেপের পর বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। প্রায় ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে অধিকাংশ শেয়ার।
আজ সকাল ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ৩৮২টি শেয়ার লেনদেন শুরু হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে দেড় শতাধিক শেয়ারের কোনো ক্রেতা দেখা যায়নি। প্রায় সমান সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের যৎ সামান্য ক্রেতা রয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো শেয়ারের দর ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না, তবে বাড়তে পারবে আগের মত ১০ শতাংশ পর্যন্ত- এমন আদেশ কার্যকরের প্রথমদিনে এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা জানান, গত আড়াই মাস ধরে টানা দরপতন হলেও গতকাল পর্যন্ত কোনো শেয়ার ক্রেতা শূন্য ছিল না। কিন্তু বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্তের প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই প্রায় অর্ধেক শেয়ার ক্রেতা শূন্য।
এখনই এ সিদ্ধান্ত বদল না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
বেলা ১১টায় ডিএসইতে লেনদেনে আসা ৩৮২ শেয়ারের মধ্যে ৩৪৫টিই দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। এ সময় মাত্র ১৬টি শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছিল দর বেড়েছে। দর অপরিবর্তিত থেকে কেনাবেচা হচ্ছিল ২১টি।
এমন দরপতনে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৯৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৪৮২ পয়েন্টে নেমেছিল। লেনদেন সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের পতন বাড়ছে।
আরো দর কমার আগে অনেক বিনিয়োগকারী নিজেদের শেয়ার বিক্রির চেষ্টায় থাকতে দেখা গেছে। প্রথম ঘণ্টায় ১৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গতকালের তুলনায় ২৪ কোটি টাকা বেশি। গতকাল একই সময়ে ১৭৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন হস্তক্ষেপের ফল যে ভালো হবে না, ক্রেতা শূন্য হবে অনেক শেয়ার, তা শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
বিএসইসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, এটা অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। আগেও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি, যার ফল ভালো হয়নি। অধিকাংশ শেয়ার দিনের পর দিন ক্রেতা শূন্য হয়েছিল।
বেলা ১১টায় ডিএসইতে যেসব শেয়ার ক্রেতা শূন্য হতে দেখা গেছে, তার অন্যতম হলো- এবি ব্যাংক, অ্যাকটিভ ফাইন, এডভেন্ড ফার্মা, আফতাব অটো, এসিআই ফর্মুলেশনস, এক্মি প্রেসটিসাইডস, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, অলটেক্স, আমান ফিড, আনলিমা ইয়ার্ন, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, এপেক্স ট্যানারি, অ্যাপোলো ইস্পাত, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, আজিজ পাইপস, বিডি থাই ফুড, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিক, বারাকা পাওয়ার, বিবিএস, বিবিএস কেবলস, বিডি অটোকার, বিডি ল্যাম্পস, বিডি কম, বেস্ট হোল্ডিংস, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মা, চার্টার্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কপারটেক, ডোমিনেজ স্টিল, দেশ গার্মেন্টস, দুলামিয়া কটন, এস্ক্যোয়ার নিট, ইভিন্স টেক্সটাইল, ফারইস্ট লাইফ, ফরচুন সুজ, ফু-ওয়াং সিরামিক, জিবিবি পাওয়ার, গোল্ডেন সন, এইচআর টেক্সটাইল, আইপিডিসি, ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ফাইন্যান্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, কর্ণফূলী ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, খুলনা পাওয়ার, খুলনা প্রিন্টিং, কাট্টলী টেক্সটাইল, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, ল্যুবরেফ, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, এমএল ডাইং, মুন্নু ফ্যাব্রিক্স, বিডি মনোস্পুল পেপার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, নিউ লাইন ক্লোথিংস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, পেপার প্রসেসিং, প্যাসিফিক ডেনিম, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার লিজিং, প্রাইমটেক্স, পূবালী ব্যাংক, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, রহিমা ফুড, আরডি ফুড, রেনউয়িক যজ্ঞেশ্বর, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রবি, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সাফকো স্পিনিং, সাইফ পাওয়ারটেক, শমরিতা হাসপাতাল, সন্ধানী লাইফ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, শাশা ডেনিম, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, শিকদার ইন্স্যুরেন্স, সিমটেক্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, শাইনপুকুর সিরামিক্স, শাহজীবাজার পাওয়ার, এসএস স্টিল, স্টাইল ক্রাফট, সামিট পাওয়ার, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, উসমানিয়া গ্লাস, ওয়াটা কেমিক্যাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইয়াকিন পলিমার, জিলবাংলা সুগার মিলস।