সারা পৃথিবীতে মহামন্দার তপ্ত বাতাস। এই তপ্ত বাতাসের আঁচ আমাদের এখানেও লেগেছে। তবে সংকটের মধ্যে শেখ হাসিনাই একমাত্র নেতা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দিতে পারেন।
আজ রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাকিস্তানের পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং পাকিস্তানের এক প্রদেশের সাবেক মুখ্য সচিব সাহেব একটি নিবন্ধন লিখেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে দেশটি (বাংলাদেশ) ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী। স্বাধীনতা চেয়ে, স্বাধীনতা এনে বঙ্গবন্ধু ভুল করেননি। পাকিস্তানের ১৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে এখন মাথা পিছু আয় দুই হাজার ২২৮ ডলারের ওপরে। এটা পাকিস্তানের ওই পত্রিকার সংখ্যা।
কাদের বলেন, এখন বাংলাদেশের জিডিপি ৪৪৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন। পাকিস্তানের ৩০৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। পার ক্যাপিট্যাল ইনকাম বাংলাদেশের দুই হাজার ৮২৪, পাকিস্তানে ১৬৫৮। জিডিপি গ্রোথ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাংলাদেশে, পাকিস্তানে ২ শতাংশ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের গড় আয়ু হিসেবে আমাদের ৭৩, পাকিস্তানের ৬৭ বছর। রিজার্ভ আমাদের ৪৮ থেকে বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ৩৪ বিলিয়ন। পাকিস্তানের ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন এই মুহূর্তে। সাক্ষরতায় আমাদের ৭৪ দশমিক ৬, আর পাকিস্তানে ৫৮ শতাংশ। আমি তুলনামূলক চিত্রটা তুলে ধরলাম এই কারণে যে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে, এই বিজয় ছিনিয়ে এনে, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা কিছুমাত্র ভুল করেননি।
তিনি বলেন, সব শিক্ষাই আছে। আমরা শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখবো। এই পরিবার থেকে শিক্ষার আছে। আজ সততা, সাহসের জন্য কোথায় যেতে হবে না। কোনও মনীষীর নিবন্ধন পড়তে হবে না। আমাদের জাতির পিতা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো। এই জনপদে বঙ্গবন্ধু নেই, এই জনপদে শেখ হাসিনাও একদিন থাকবেন না। কিন্তু তাদের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে। স্বাধীনতার উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে, বেঁচে থাকবে মুক্তির উত্তরাধিকার।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।