আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধপন্থায় বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। তার নির্দেশেই শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান শুধু ঢাকা সিটিতেই নয়, সারা বাংলাদেশে চলবে।
রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ দলের অভ্যন্তরে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। তিনিই একমাত্র এই সৎ সাহস দেখাতে পেরেছেন। অন্য কোনো সরকার এই সাহসটুকু দেখাতে পারেননি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের কোণঠাসা করে কেউ দলে থাকতে পারবে না। রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী বলে কিছু নেই। কোনো পদ কারো কাছে লিজ দেওয়া হয়নি। সারাদেশে নতুন মডেলের ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চাই।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নয়, তবে ছাত্ররাজনীতির নামে কেউ অপকর্ম করলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব তলব ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভায় যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত যতটুকু করা হয়েছে, ততটুকুই থাকবে। যুবলীগের চেয়ারম্যান নজরদারিতে আছেন কি না, তা পরে জানা যাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, রাজশাহী সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, প্রফেসর মেরিনা জাহান প্রমুখ।
এছাড়া খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ বিভাগের এমপি, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।