চট্টগ্রাম অফিস
চট্টগ্রামের নূরজাহান গ্রুপের কর্ণধারদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক শীর্ষ ঋণখেলাপি নূরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ অন্য পরিচালকদের ওয়ারেন্ট দ্রুত তামিল করতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন যুগ্ম জেলা জর্জ মুজাহিদুর রহমান।
আদালতের নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ আদায়ের প্রয়াস হিসাবে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দায়ীকদের বিরুদ্ধে ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ডিক্রিদারের আবেদনক্রমে ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়।
অভিযুক্তরা দেশত্যাগ করেছেন কিনা সে বিষয়ে আদালতের পক্ষ থেকে স্পেশাল পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) নির্দেশ দেয়ার পর নূরজাহান গ্রুপের পরিচালক জহির আহমেদ, টিপু সুলতান, জসিম উদ্দিন ও ইফতেখার আল জাবের বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২ অক্টোবর টিপু সুলতান কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করলেও অপর পরিচালকরা এখনো দেশের অভ্যন্তরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দেশের আর্থিক খাতে ক্যান্সারের ন্যায় ছড়িয়ে পড়া ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি থেকে ব্যাংকিং খাতকে বাঁচাতে এ মামলার দায়ীকদেরসহ শীর্ষ ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে ইস্যুকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা অবিলম্বে তামিল হওয়া প্রয়োজন। সার্বিক বিবেচনায় ডিক্রিদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইস্যু করা গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করতে কোতোয়ালী থাকাকে নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের তথ্য মতে, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অর্থঋণ মামলা নং-২৯৯/২০১৯ এর নূরজাহান গ্রুপের জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের কাছে ব্যাংকের মূল পাওনা ৩৬৬ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯ টাকা। সুদ ও মামলা খরচসহ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকের মোট পাওনা ৪৬৫ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭০ টাকা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।