শিল্পা তখন সবে সতেরোর কিশোরী। স্কুলপড়ুয়া মেয়ে রূপচর্চার কোর্সের সূত্রে মডেলিংয়ে। মেয়ের সঙ্গে একটি মডেলিং শ্যুটে গিয়েছিলেন মা। সেখানেই শিল্পাকে দেখে ভারী পছন্দ হয় যশ চোপড়ার সহকারী দিলীপ নায়েকের। মেয়ের চোখে যে অদ্ভুত এক আকর্ষণ আছে! তার পরেই মায়ের কাছে ঝুলোঝুলি। শিল্পাকে অভিনয় করতে দিতে মা নারাজ— ‘‘সবে তো সতেরো বছর বয়স ওর। অভিনয় কী করবে?’’
শিল্পা বলেন, দিলীপের ঝোলাঝুলিতে শেষমেশ নিমরাজি হন তাঁর মা। কিন্তু শেষ কথা তো বলবেন বাবা। তাঁকে রাজি করাবে কে? সে কথা শুনে সেই রাতেই নাকি তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান যশের সহকারী।
‘ধড়কন’-এর নায়িকার কথায়, ‘‘আমি বলেছিলাম বাবা কিছুতেই রাজি হবেন না। দিলীপ সোজা চলে আসেন আমাদের বাড়ি। এক রাত টানা সাধ্যসাধনা। বাবাকে রাজিও করে ফেললেন তাতেই। শর্ত একটাই, অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাটা আমায় চালিয়ে যেতেই হবে।’’
দিলীপের সেই ছবি শেষ পর্যন্ত হয়নি। তার বদলে ডাক এল পরিচালক জুটি আব্বাস মস্তানের কাছ থেকে। ‘বাজিগর’। এ বার শর্ত দিয়েছিলেন শিল্পা। কাউকে চুমু খেতে পারবেন না তিনি। আশ্বস্ত করা হয়, সে রকম দৃশ্য থাকবে না ছবিতে।
চুমু খেতে হয়নি শিল্পাকে। বলিউডে প্রথম ছবিতেই তন্বী অভিনেত্রী মন কেড়েছিলেন চুলবুলে মেজাজে!