কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারও রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের শিকার না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে এ ধরনের সব কর্মসূচি পরিহার করে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ পুনরায় জানাচ্ছি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এতে ‘তরুণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির অপরাজনীতি এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ এই বিবৃতি বলে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের উপর চার সপ্তাহের স্থিতাদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এই আদেশের পরে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের কোনও কার্যকারিতা বর্তমানে নেই। এরপরও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকার যৌক্তিকতা নেই।
এই আন্দোলনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়লে তরুণ শিক্ষার্থীদের ওপর জনগণ আস্থাহীন হয়ে পড়বে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক মহল শিক্ষার্থী ও জনগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। আমরা বিশ্বাস করি না, কোমলমতি সকল শিক্ষার্থী দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করতে চায়। শুধু যারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তারাই আদালতের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে কোনও আন্দোলন হলেই বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা সেটাকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় যাওয়ার দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ে। এখন তারা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ তাদের ওপর জনগণের কোনও আস্থা নেই। সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনেই তারা সফল হতে পারেনি। তাই যখনই অরাজনৈতিক আন্দোলন সংগঠিত হয়, সেটাকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে বিএনপি।