অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ শেষে দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন ও ভারতের দুই ক্রিকেটার।
ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয় শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রকিবুল হাসান এবং ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণুর নামে বরাদ্দ করেছেন বিভিন্ন মাত্রার সাসপেনশন পয়েন্ট। এর ফলে আগামী বেশ কিছু ম্যাচ তারা খেলতে পারবেন না।
পচেফস্ট্রুমে শুক্রবারের ফাইনালে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেই ছিল উত্তেজনা। কিন্তু ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসের মধ্যে সেই উত্তেজনা আর বেঁধে রাখা যায়নি। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের কয়েকজন।
এর শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হৃদয় ১০ সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যা ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শামীম পেয়েছেন ৮ সাসপেনশন পয়েন্ট এটিও ছয় ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। আর বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল পেয়েছেন চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।
ভারতীয় পেসার আকাশ পেয়েছেন ৮ সাসপেনশন পয়েন্ট যা ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। লেগ স্পিনার বিষ্ণুই পেয়েছেন ৫ সাসপেনশন পয়েন্ট যা পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।
এই ডিমেরিট পয়েন্ট দুই বছর বহাল থাকবে। এক সাসপেনশন পয়েন্টের অর্থ হলো অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের হয়ে একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি। অর্থাৎ এই দু’বছরে তারা ডি মেরিট পয়েন্টের সমান ম্যাচ মিস করবেন। এরপরে উঠে যাবে তাদের শাস্তি। বেশ বড় শাস্তি পেলেন এ পাঁচ ক্রিকেটার।