যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যেন মেসি নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করেছেন। প্রতিটি ম্যাচে দেখা যাচ্ছে তার নতুন চমক। এবার লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শার্লট এফসিকে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। ইতিহাসে প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের প্রথম বড় সাফল্য পেয়েছে মায়ামি।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে শার্লট এফসির মুখোমুখি হয় মায়ামি। ম্যাচটিতে মায়ামি ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। একটি করে গোল করেছেন জোসেফ মার্টিনেজ, রবার্ট টেইলর ও লিওনেল মেসি। আরেকটি গোল হয়েছে আত্মঘাতী।
এদিন আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় প্রথমার্ধে মেসিকে কিছুটা চুপ করিয়ে রাখতে পেরেছিল শার্লট। এই অর্ধে মেসি লক্ষ্যে শুধু একটি শটই নিতে পেরেছিলেন। ৩০ মিনিটে মেসির সেই শট ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। তবে মেসির গোল ঠেকিয়ে রাখতে পারলেও তাঁকে পেয়ে উজ্জীবিত সতীর্থদের আটকাতে পারেনি শার্লট। প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি।
এরপরও মেসির সুযোগ ছিল গোল আদায়ের। ম্যাচের ১২ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি মেসি নিলে গোলটি লেখা হতে পারত তাঁর নামের পাশে। কিন্তু তাঁর বদলে সেই শট নেন হোসেফ মার্তিনেজ। এই ফরোয়ার্ড অবশ্য ভুল করেননি। ঠান্ডা মাথার নিখুঁত শটে এগিয়ে দেন দলকে। এগিয়ে যাওয়ার পর আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে মায়ামি। আক্রমণ ও বল দখলে এগিয়ে ছিল তারাই, যা দলটিকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেয় ম্যাচের ৩২ মিনিটে।
ডান প্রান্তে শার্লট ডিফেন্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে ডিআন্দ্রে ইয়েডলিন বল বাড়ান রবার্ট টেইলরের উদ্দেশে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ফাঁদ এড়িয়ে ডান পায়ে বাঁ কোনা ঘেঁষে শট নেন টেইলর। বলের গতিপথ বুঝতেই পারেননি শার্লট গোলরক্ষক। মায়ামি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। আর কোনো গোল না পেলেও ইন্টার মায়ামির দাপটেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ।
তবে মেসির তৈরি করা আক্রমণ থেকেই তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেয় ইন্টার মায়ামি। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়ায় শার্লট।
দলের ৩ গোলের পরও মেসি গোল না পেলে কি হয়! অবশেষে কিছুটা অপেক্ষা করিয়েই মায়ামির দর্শকদের মেসি মাতিয়ে তুললেন ম্যাচের ৮৭ মিনিটে। মেসির গোলটি যেন ‘চেরি অন দ্য কেক’। কারন এ গোলের আগেই অবশ্য নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টার মায়ামির সেমিতে ওঠা।