৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে অপু বিশ্বাস অভিনীত; আজকের শর্টকার্ট- ছবি। নচিকেতা চক্রবর্তীর গল্পে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সুবীর মণ্ডল। ছবির প্রচারণায় অংশ নিতে ১৭ আগস্ট কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন অপু। প্রচারণার অংশ হিসেবে অপু বিশ্বাস বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
প্রশ্ন ছিল অপু বিশ্বাসের কাছে, ‘জীবনের এই যাত্রাপথে কোন ঘটনা না ঘটলে আপনি খুশি হতেন? উত্তরে অপু বলেছেন, ‘অবশ্যই বলব, শাকিব খানের সঙ্গে বিয়েটা। এত দ্রুত বিয়ে, দ্রুত বাচ্চা—সবটাই তাড়াতাড়ি করে ফেলেছি। এটা যদি সময় নিয়ে করতাম, বুঝে করতাম, তা হলে ভালো হতো।’
১৬ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন অপু বিশ্বাস। অভিনয় করতে গিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে প্রেম, এরপর দুজনের যখন বিয়ে হয়, তখন অপু বিশ্বাসের বয়স ২০ বছর।
বিয়ের ৯ বছর পর ২০১৭ সালের এপ্রিলে শাকিব-অপুর বিয়ের খবরটি টেলিভিশন লাইভে এসে জানান অপু বিশ্বাস। সঙ্গে এ–ও জানালেন, তাঁদের ছয় মাস বয়সী একজন পুত্রসন্তান রয়েছে, যাঁর নাম আব্রাম খান জয়। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই দুজনের সম্পর্কের অবনতি হয়। একটা সময় দুজনের সম্পর্ক গড়ায় বিচ্ছেদে। এদিকে বিচ্ছেদের পাঁচ বছরের মাথায় কলকাতায় ছবির প্রচারে গিয়ে অপু বিশ্বাস জানালেন, ওই বয়সে তাঁর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। একই সঙ্গে এ–ও জানালেন, বিয়ে না করলে তো আব্রামের মতো সন্তানের মা–ও হতে পারতাম না, এটাও কিন্তু ঠিক।
হঠাৎ কেন এ ধরনের কথা বললেন, জানতে চাইলে অপু বললেন, ‘এটা আমার এখনকার উপলব্ধি। থাকে না, মানুষ হিসেবে তো অনেক কিছু মনে হতেই পারে। আমার মনেও তেমনটাই হচ্ছিল, যদি আরও প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতাম, হয়তো ভালো হতো। তবে এটাও তো ঠিক, ভাগ্যে ছিল। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আজ বুধবার দুপুরে যখন কথা হয়, তখন তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, তবে কি বিয়েটা তখন আপনার ইচ্ছায় হয়নি? উত্তরে অপু বিশ্বাস বললেন, ‘তা হবে না কেন। আমি রাজি ছিলাম বলেই তো বিয়ে হয়েছে। আমাদের দুজনের ইচ্ছাতেই বিয়ে হয়েছে। প্রেম করেছি, বিয়েও করেছি, এরপর সন্তানের মা–ও হয়েছি। এটা তো ঠিক, ওই সময় শাকিবের সঙ্গে যদি তখন বিয়ে না হতো, তাহলে কি আব্রামের মতো সন্তানের মা কি হতে পারতাম, তা তো হয়তো হতে পারতাম না।’
অপু বিশ্বাস জানালেন, তিনি মনে করেন, শাকিব খানের কারণে তিনি আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছেন। অভিনয় জীবনের শুরু থেকে শাকিব খান তাঁকে শুধু সহশিল্পী হিসেবে নয়, অভিভাবক হিসেবেও গাইড করেছেন।
অপু বললেন, ‘চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকে অনেক ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হন। বিশেষ করে নায়িকা হতে যাঁরাই আসেন, তাঁদের অনেককে আরও বেশি তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু আমাকে তা হতে হয়নি।
অভিনয় জীবনের শুরুতেই সহশিল্পী হিসেবে শাকিব খানকে পেয়েছি। সে তখন ব্যস্ত নায়ক। আমাদের দারুণ একটা জুটি তৈরি হয়। শাকিব খানের কারণেই ইন্ডাস্ট্রির সবাই আমাকে অন্য রকমভাবে সম্মানের চোখে দেখেছে। তার কারণেই অনেক ছবিতে কাজ করতে পেরেছি। এসব তো অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। হয়তো আজ আমাদের দুজনের পথ দুই দিকে, কিন্তু সন্তানের বাবা হিসেবে তাঁর প্রতি আমার সম্মান, শ্রদ্ধা সব সময় থাকবে।