অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আরো ১৩ জন শপথ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তারা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুর্শিদ, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক ফরিদা আখতার, নূরজাহান বেগম ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তবে তিনজন উপদেষ্টা যথাক্রমে বিধান রঞ্জন রায়, ফারুক-ই-আজম ও সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকায় না থাকায় তারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ইরান, আর্জেন্টিনা, ফিলিস্তিন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডসসহ আরো কিছু দেশের কূটনীতিকরা।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লা আমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খাইরুল কবীর খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান মিনু। বাম নেতাদের মধ্যে ছিলেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রুহিন হোসেন প্রিন্স ও জোনায়েদ সাকি।
এ ছাড়া জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না ও নুরুল হক নুর এতে উপস্থিত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের কাউকে অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।