মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ায় বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টসহ ৯৪ জন ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাদেরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির বিচারপতি আর্নেস্টো রদ্রিগেজ মেজিয়া।
তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যাক্টিভিস্ট ভিলমা নুনেজ, সাবেক বিদ্রোহী কমান্ডার লুইস ক্যারিওন ও সাংবাদিক কার্লোস ফার্নান্দো চামোরোকে ‘মিথ্যা খবর ছড়িয়ে জাতীয় অখণ্ডতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র’র দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এভাবে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্লেষক, আইন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা ২২২ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্ত করে দেন। এরপরেই তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওর্তেগার সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ওই ২২২ জনকে দুই বছরের জন্য আশ্রয় দিয়েছে। আর তাদেরকে নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিয়েছে স্পেন।
দুই বছর আগে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার বিরোধীদের ধরপাকড় শুরু হয়। তখন তালিকায় থাকা অনেকে দেশ ছেড়ে যান। পরে তাদের ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়।
২০১৮ সালে নিকারাগুয়ান নিরাপত্তা বাহিনী সহিংসভাবে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমন করার পর থেকে হাজারো আন্দোলনকারী দেশ ছাড়েন।
২০২১ সালের নভেম্বরে পুনর্নির্বাচনের আগে নিকারাগুয়ান কর্তৃপক্ষ ওর্তেগার বিরোধী সম্ভাব্য সাতজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল।
- Design