ভারতের লাদাখ সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উত্তেজনা । পূর্ব লাদাখে সীমান্তরেখার বেশ কিছু অঞ্চলে ভারত ও চীনের সেনা সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ২০১৭ সালে ডোকলাম সংকটের পর এবারই সীমান্তে দু‘দেশের সবচেয়ে বড় সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত মিলেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শীর্ষস্থানীয় সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, প্যানগং সো ও গালওয়ান উপত্যকায় শক্তি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনারা। ওই দুই অঞ্চলে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার চীনের সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, ভারতীয় সেনার শক্তি এই অঞ্চলে যথেষ্ট বেশি রয়েছে। ভারতীয় সীমান্তের বহু উল্লেখযোগ্য স্থান অতিক্রম করার অভিযোগ রয়েছে চীনা সেনাদের বিরুদ্ধে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনাদের।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের উত্তরাঞ্চলের সাবেক সেনা কমান্ডার জেনারেল ডিএস হুদা বলেম, বিষয়টা গুরুতর। এটা কোনও সাধারণ সীমা লঙ্ঘন নয়ন ।তার মতে গালওয়ানের মতো এলাকায় সীমান্ত অতিক্রম উদ্বেগের বিষয়। কেননা ওই সীমান্তরেখায় কোনও সমস্যা নেই।
কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ রাষ্ট্রদূত অশোক কে কান্ঠা বলেন, পরিস্থিতি যথেষ্ট অস্বস্তির। বেশ কিছু জায়গায় চীনা সেনা সীমান্তরেখা লঙ্ঘন করেছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তার দাবি, এটা রুটিনমাফিক সীমান্ত লঙ্ঘন নয়।
৫ মে চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে। ওইদিন ভারতীয় ও চীনা সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড, লাঠি নিয়ে। এমনকি পাথর ছোড়াও হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনারাই।
২০১৭ সালে ডোকলামে দু’দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।