মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে।
১৯৭১ সালে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল স্বাধীন দেশ, সেই শহীদদের স্মরণে শনিবার রাতের প্রথম প্রহরেই জাগ্রত হয় স্মৃতিসৌধ এলাকা। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই লাখো মানুষ হাজির হন স্মৃতিসৌধ এলাকায়। শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে, পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে তারা স্মরণ করছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়া বীর শহীদদের।
সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তির দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান।
সেনা, নৌ ও বিমান- তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।
স্মৃতিসৌধ এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সারিবদ্ধভাবে একে একে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মুহূর্তেই স্মৃতিসৌধ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনতার ভিড়। চারদিক থেকে মানুষের ঢল গিয়ে মিশতে থাকে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ফুল দিচ্ছেন লাখো জনতা। হাজারো মানুষের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে স্মৃতিসৌধ এলাকা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের গাড়িবহর বের হওয়ার পরই স্মৃতিসৌধ এলাকায় লাখো মানুষ ফুল হাতে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বেদীতে ফুল দিচ্ছেন। শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আবেগ জানাচ্ছেন।
বিজয় দিবসে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জনসাধারণ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আসায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।