আগামী মাসেই নির্বাচন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ায়। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তেই দেশটির গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্নকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাইবেরিয়ায় গণতন্ত্র ক্ষুণ্নকারীদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। অবশ্য ঠিক কতজনের ওপর এই ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, কাদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের নাম স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এতে আর বলা হয়েছে, তবে যারা এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন না। তাদের ভ্রমণের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। অবশ্য সর্বশেষ ঘোষিত এই নীতিটি লাইবেরিয়ার জনগণ বা সরকারকে লক্ষ্য দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্লিংকেন।রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছর লাইবেরিয়ার তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহারের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়েহের চিফ অব স্টাফ ন্যাথানিয়েল ম্যাকগিলও ছিলেন। যদিও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর প্রেসিডেন্ট ওয়েহ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন। তবে তারা কোনো ধরনের অন্যায়ের কথা স্বীকার করেননি।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ায় আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আসন্ন এই নির্বাচনে সাবেক ফুটবল তারকা প্রেসিডেন্ট ওয়েহের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হবে। মূলত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব সত্ত্বেও কিছু উন্নতি করতে পারেন এমন আশা দেখিয়ে ওয়েহ ক্ষমতায় এসেছিলেন। তবে ওয়েহের ক্ষমতার প্রথম মেয়াদ বেশ বিশৃঙ্খল ছিল। এছাড়া তার অধীনে একের পর এক কেলেঙ্কারিও তাকে বেশ পিছিয়ে দিয়েছে।