নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের কর্মী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, দুই মাস কিন্তু দুই মাসই। এটি ‘স্পর্শকাতর বিষয়’, বারবার সময় দেওয়া হবে না, দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। পরে আদালত দুই মাস সময় আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
২২ মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি।
এই মৃত্যুর ঘটনায় ২৮ মার্চ একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। এরপর ৫ এপ্রিল ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই ঘটনায় জড়িত র্যাব সদস্যদের দায়িত্ব থেকে আপাতত সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় হলে ঢাকায় বাহিনীটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, যুগ্ম সচিব এনামুল হকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে একটি চক্র দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিল। এ অভিযোগে সেই সচিবের উপস্থিতিতে আটক করা হয় তাকে।
পরে জেসমিনকে আটকের অভিযানে থাকা ১১ সদস্যকে প্রত্যাহার করে র্যাব-৫ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ২৮ মার্চ এ রিট মামলা করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
জনস্বার্থে করা ওই রিট মামলায় স্বরাষ্ট্র সচিব, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। তার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ এপ্রিল উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।