The news is by your side.

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই:  প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

0 107

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের এ দেশে অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই বলে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের জানিয়েছে সরকার।

রবিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ কথা জানান।

মুখ্য সচিব বলেন, সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ স্থায়ী প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত। রোহিঙ্গাদের ‘স্থানীয় অন্তর্ভুক্তির’ কোনো ধরনের সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তায় সাড়া দেওয়াসংক্রান্ত জিসিসি প্লাস ফোরামের সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি ভাসানচরে সম্প্রসারিত সাময়িক শেল্টার তৈরিতে রাষ্ট্রদূতদের সহযোগিতা কামনা করেন।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান, ফিলিস্তিন, ইরান, তুরস্ক, ইরাক, চীনের রাষ্ট্রদূতসহ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক, ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রসচিব, জননিরাপত্তাসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জিসিসি প্লাস ফোরামের এ সভায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

 

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ও খাদ্য সহায়তায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ সাহায্যকারী সংগঠনগুলোর মাথাপিছু বরাদ্দ কমার বিষয়টি তুলে ধরে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও ডাব্লিউএফপির প্রতিনিধি সবাইকে সহায়তার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সৌদি আরব, ইরান, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, কাতার, কুয়েত ও চীনের রাষ্ট্রদূতরা নিজ নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের যেকোনো উদ্যোগে পাশে থেকে সমর্থন ও সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.