রোরোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ আর উদারতা দেখাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আগমনে উদারতা দেখাবে না বাংলাদেশ। এমনিতেই এত বোঝা। আর নিতে পারব না।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতে গোলাগুলি, মর্টারশেল এখানে (বাংলাদেশে) এসে পড়ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। মিয়ানমারের এ সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ। তার প্রভাবে সৃষ্ট আতঙ্ক যেন প্রতিবেশি দেশে না ছাড়ায় সেজন্য তাদের নিজেদেরই সমাধান করা উচিত। এছাড়া জাতিসংঘের মধ্যস্থতায়ও সমাধান করতে পারে তারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটা দলের সবাই ভালো মানুষ এমন দাবি করতে পারি না। খারাপ কাজও করে কিছু মানুষ। আমরা খারাপ কাজটা প্রশ্রয় দিই না। আইনের আওতায় আসার মতো অপরাধ হলে আইনের আওতায় আনা উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে অতীতেও কেউ অপরাধ করে পার পায়নি।’
‘অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাই বাইডেন। বিএনপি এখন কি বলবে’ বিএনপির প্রতি এ প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, দলটির নেতারা পালিয়ে গেছেন, কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন। এখন আপনাদের ক্ষমতায় আসার শক্তির উৎসটা কি? জনগণ ইতোমধ্যে আপনাদের থেকে সরে গেছে। জনগণও নেই, বিদেশি বন্ধুরাও বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে। যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বেশি ভরসা ছিল সেই যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। এখন ক্ষমতায় যেতে বিএনপি কোন আশায় বসে থাকবে?